পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OR রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । তুলিয়া মেবামত করিয়াছিলেন। তঁহারা, পোর্ট আর্থার লাভ করিবামাত্র একদিনও বিলম্ব না করিয়া সহর ও দুর্গ সকল মেবামত করিতে আরম্ভ করিলেন। পূর্ব হইতেই তাহারা এ কাৰ্য্যেবা জন্য হাজার হাজাব চীনে কুলি সংগ্ৰহ করিতেছিলেন। এক্ষণে কাল বিলম্ব না করিয়া তাহারা সেই সকল কুলি পোর্ট আর্থারে আনিতে আরম্ভ কবিলেন। সকলেই বুঝিলেন যে জাপানিগণ এবাব আর পোর্ট আর্থার ছাড়িতেছেন না । ৫ই জানুয়াবি জেনাবেল ষ্টসেল জাপ-সেনাপতি নগিব সহিত দেখা করিতে গেলেন। রুষ-সেনাপতি তাহাব পূর্ণ যোদ্ধ বেশে তাহার সহকারী সেনাধ্যক্ষগণকে সঙ্গে লইয়া জাপ-সেনাপতির সহিত সাক্ষাতের জন্য সুইসিজিংয়ে উপস্থিত হইলেন। তঁহার পশ্চাতে কসক-শবীররক্ষকগণ, -তিনি এক বৃহৎ শ্বেত অশ্বে উপবিষ্ট। তঁহার আগমন সংবাদ পাইবামাত্র নগি আশ্বারোহণ কবিয়া তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। এতদিন যে দুই ৰীর দিন রাত্রি ধরা রক্তে প্লাবিত করিতেছিলেন, আজ র্তাহাবা দুইজনে পরস্পর পরস্পরেব সম্মুখীন হইয়াছেন,-উভয়ের মনের ভাব বর্ণনা করা অসম্ভব। একজন জেতা ও অপরে বিজিত—মুহুর্তের জন্য উভয়ে উভয়ের দিকে চাহিলেন-তৎপবে উভয়ে উভয়কে হস্তে মস্তক স্পর্শ করিয়া সম্ভাষণ করিলেন। তৎপরে নগি অশ্ব হইতে অবতীর্ণ হইলেন। সঙ্গে সঙ্গে ষ্টসেলও অশ্ব হইতে নামিলেন। তখন দুইজনে পরস্পরের কুশল বাৰ্ত্তা প্ৰভৃতি সদালাপ করিতে করিতে সম্মুখস্থ গৃহ মধ্যে প্রবেশে উদ্যত হইয়া নগি রুষ-সেনাপতির মান্যার্থে পশ্চাৎপদ হইলেন । ষ্টসেল অগ্ৰে প্ৰবেশ করিলেন। ক্ষুদ্র গৃহে একখানা সামান্য টেবিল ও কয়েকখানি চেয়ার মাত্র ছিল। এক্ষণে সেনাপতি নগি রুষ-সেনাপতির হন্ত মর্দন করিয়া বলিলেন, “আপনার ন্যায় বীরের হস্ত মর্দন করিয়া আমি নিজকে গৌরবান্বিত মনে করিতেছি।” রুষ-সেনাপতি বলিলেন, “আপনায় ভানু, বােদ্ধার সহিত পরিচিত হইয়া আমি ধন্য হইলাম।” তৎপরে