পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুষ-নৌবাহিনী পথে। S@ ዓ কয়লা ও রসদ প্ৰভৃতির জাহাজ ছিল। এই নৌবাহিনীর সেনাপতি হইয়া চলিলেন আডমিরাল নিবোগাটফ। কিন্তু রুষ কেন যে এই সকল অৰ্দ্ধভগ্ন জাহাজগুলি দুব জাপান সমুদ্রে প্রেরণ করিলেন, তাহ বলা যায় না। বিশেষতঃ জাহাজে যে সকল নাবিক ও সেনা প্রেরিত হইল, তাহাবা নিতান্ত অনিচ্ছাপূর্বক চলিল। এমন কি অনেকেই প্ৰকাশ্যে বিদ্রোহিত্যাচরণ করিতে লাগিল । তাহাদিগকে শাসনে রাখা সেনাপতির পক্ষে নিতান্তই কষ্টকর ব্যাপার হইয়া উঠিল! যাহাই হউক, এই নৌবাহিনী অতি ধীবে ধীরে চলিয়া ২৪ শে মার্চ তাবিখে পোর্টসায়েড় উপস্থিত হইল। ইহাবাও সময়ে রুষেরা পুৰ্ব্বগামী নৌবাহিনীর সহিত মিলিত হইয়া অবশেষে জাপান সমুদ্রে গিয়া জাপানী যুদ্ধপোতেব সহিত যুদ্ধ করিবে !! তবে রুষেব যুদ্ধপোত সকল সংখ্যায় অধিক হইলেও সকলগুলিই প্রাচীন আমলের। জাপানেব আধুনিক নূতন জাহাজেব সহিত তাহারা যে কতদূব প্ৰতিযোগিতা করিয়া উঠিতে পরিবে তাহ বলা যায় না । এদিকে রুষ-জাহাজ অনেক দিন ফবাসী বন্দবে থাকিয়া নানা দ্রব্যাদি ক্ৰয় করিতেছে,-ইহাতে ফান্সের যুদ্ধে নিলিপ্ততা নষ্ট হইতেছেজাপান ইহাতে ন্যায়সঙ্গত আপত্তি করিতে পাবেন । রুষ ফুন্সের সন্ধিসূত্রে বন্ধু বটে, কিন্তু তাহারা যুদ্ধেব নিয়ম পালন করিতে বাধ্য। ফ্ৰান্স যতদূব সাধ্য আইন রক্ষা করিয়া রুষের সাহায্য করিতেছেন, কিন্তু রুষনৌসেনাপতি আইন কানুন একেবারেই মানিতেছেন না। যাহাই হউক, তিনি বহুদিন মাডাগাস্কারে বিশ্রাম লাভ করিয়া, অবশেষে জাপান সমুদ্রেব দিকে যাত্ৰা করিলেন। ৮ই এপ্রেল রুষেৰ দ্বিতীয় নৌবাহিনী সিঙ্গাপুবের নিকট দৃষ্টিগোচর হইল। তাহাবা ভারত সমুদ্র পার হইয়া এবার সত্য সত্যই জাপান-সমুদ্রের নিকটস্থ হইয়াছে ;-তৃতীয় নৌবাহিনীও লোহিত সমুদ্র উত্তীর্ণ হইয়া।