পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপযোদ্ধার পত্ৰ । RoS ভাই সকল—আর চলে আয়,-চলে আয়।” এই সময়ে কে একজন ছুটিয়া আমার উপব আসিয়া পাতত হইল। আমি তাহার ধাক্কায় প্ৰায় ভূপতিত হইয়াছিলাম,-কিন্তু তাহাকে ছয় ফুট লম্বা দেখিয়া বুঝিলাম যে সে জাপ নহে-রুষ ! আমি তাহালি স্কন্ধে সবলে। তববাবি আঘাত কবিয়া বলিলাম, ‘অস্ত্ৰ পবিত্যাগ কর। এখন কোন স্থানে লুকাইয়া থাক, তাহাব পব, আত্মসমৰ্পণ কবিবে।” সে আমাব পরামর্শ গ্ৰহণ কবিয়া লুকাইয়া *5िवा,। “সন্মুখে আমি জাপগণের বানাজাই ধ্বনি শুনিতেছি ;—তাহাবা চাৎকাব করিয়া বাণিতেছে, “ওবে বৰুষকি (রুষগণ),-ওবে কষকি,-"আত্মসমপণ করা, নতুবা প্ৰাণ হাবাইবি।” আমবা কয়জন যেখানে ছিলাম, কষগণ সেই দিকে ছুটিয়া আসিতে লাগিল ; কাজেই আমরা অন্ধকাবে তাহদেব উপাব তববার ও বেযনেট চালাইতে লাগিলাম ; তখন এক লোমহর্ষণ বুঢ়াপাব ঘটতে লাগিল। আমবা সব অন্ধকাবে শুষ্টয়া পড়িয়াছি ;-যেমন একজন রুষ আসিতেছে, আমনই আমবা তাহার। ইহলীলা শেষ করিয়া আবাব অন্ধকাবে শুইয়া পড়িতেছি । চাবিদিকে শব্দ হইতেছে, ‘জামাদ, জামাদ, ওকা, ওক, সাবধান, সাবধান ৷” “শত্রু ভাবিয়া অন্ধকাবে নিজের লোকে বা উপব অস্ত্ৰ চালাইও না।” “সাবধান সাবধান।” “বানজাই ! বানজাই!” অৰ্দ্ধ ঘটিকাব মধ্যে সকল শেষ হইয়া গেল, কিন্তু এই আধ ঘণ্টা আমাদেব মনে হইল যেন একটা সমস্ত জীবন।” এই যুদ্ধে জাপানী দলেব প্ৰায় সমস্ত সেনাধ্যক্ষগণ হত ও আহত হইলেন । ইহাদের মধ্যে একজন যুদ্ধের পুর্বে জাপানের এক বিখ্যাত বিদ্যালয়েব শিক্ষক ছিলেন । জাপযোদ্ধা লিখিতেছেন ঃ-“রাত্ৰি হইবাব মুখে বরফ পড়িতে আরম্ভ হইল ; তাহাতে চারিদিকে যে অপূর্ব সৌন্দৰ্য্য বিকীর্ণ কবিল, তাহাব বর্ণনা হয় না । ঠিক যেন কোন নাট্যশালার চিত্র। চাবিদিক শ্বেত তুষার্বে