পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS8 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাসু । লেফটানেণ্ট হোতা একদল সৈন্য লইয়া স্থলে অবতীর্ণ হইয়া টেলিগ্রাফের তার কাটিয়া দিয়া জাহাজে প্ৰত্যাবৃত্ত হইলেন। সন্ধ্যা পৰ্যন্ত “মাইন” ধৃত ও নষ্ট করা কাৰ্য্য চলিল। কিন্তু এই বিপদজনক কাজ নির্বিম্নে সুসম্পন্ন হইল না । জাপানের একখানি টরপেডো বোট একটা “মাইনে” সংঘর্ষিত হইয়া জলমগ্ন হইল । ১৪ই মে আবার জাপানিগণ এই ভয়াবহ “মাইন” ধূত করণ কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইলেন। সে দিন রুষগণ। কয়েকটা বড় বড় কামান আনিয়া জাপ যুদ্ধপোতেব উপর গোলা চালাইতে আরম্ভ করিল। জাপানিগণও প্ৰত্যুত্তর দিতে বিরত হইলেন না। ;-বহুক্ষণ উভয় পক্ষে গোলা চলিল। জাপানিগণ এই গোলাবৃষ্টির মধ্যে নীরবে “মাইন” ধবংস করতে লাগিলেন, কিন্তু সহসা তঁহাদের এ কাৰ্য্য হইতে বিরত হইতে হইল। তঁহাদেব ক্রুজার জাহাজ মিয়াকে “মাইনে” সংঘর্ষিত হইয়া ছিন্ন ভিন্ন হইল,-বাইশ মিনিটেব মধ্যে মিয়াকে জলমগ্ন হইল। রুষ জাহাজ পেট্রোপাভলস্কি দুই মিনিটে ডুবিয়ছিল ! জাপানিগণ বাইশ মিনিট সময়ে জাহাজস্থ অধিকাংশেরই প্ৰাণরক্ষা করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। এ পর্য্যন্ত এ যুদ্ধে জাপানের একখানি জাহাজও নষ্ট হয় নাই। এক্ষণে, অদৃষ্টলক্ষ্মী তাহদের উপর বিরূপ হইলেন। দুইদিনে তাহদের দুই খানি জাহাজ নষ্ট হইল । ইহাতেও জাপানিগণ নিরুৎসাহ হইলেন না । পরদিন আবাব অনেক “মাইন” নষ্ট করিলেন। আডমিরাল কাটাওক নিজ বিপোর্টে লিখিয়াছিলেন, “রুষগণ গোলা চালাইয়া আমাদের কার্ঘ্যে সৰ্ব্বদা ব্যাঘাত দেওয়া সত্বেও অনেক “মাইন” নষ্ট করা হইয়াছে ; কিন্তু আরও অনেক আছে-সেগুলিও নষ্ট করা হইবে।” ১৫ই মে রবিবার জাপানের ঘোর অদৃষ্ট বৈগুণ্য ঘটিল। পোর্ট আর্থার বন্দর হইতে প্ৰায় ১০ মাইল দূরে সমুদ্র মধ্যে তাহদের কয়েক খানি যুদ্ধপোত ঘুরিতেছিল। সহসা তাহদের বৃহৎ ব্যাটেলসিণ