পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । পবাস্পরে। পরস্পবের নিন্দায় নিযুক্ত আছে। দুৰ্গস্থ সেনাগণ জাহাজস্থ যোদ্ধাদিগকে কাপুরুষ অপদাৰ্থ বলিয়া গালি দিতেছে । মাকারিফ একদিকে যেমন রুষ জাহাজ মেরামত কাৰ্য্যে প্ৰাণপণ যন্ধু করিতে লাগিলেন - অপরদিকে তিনি তেমনই দুৰ্গস্থ সকলের মনে উৎসাহ ও তেজ উত্তেজিত করিতে চেষ্টা পাইতে লাগিলেন । এটা স্থির যে তঁাহাব আগমনে পোর্ট আর্থবে এক নূতন তেজেব সমাবেশ হইল। ৯ই মার্চ নিশীথ বাত্রে জাপানী টরপেডো ডেসট্রিয়ার জাহাজের দুই দল নিঃশব্দে পোর্ট আর্থাবে বা নিকট আসিয়া কষের কোথায় কোন জাহাজ আছে, তাহাই লক্ষ্য কবিতে লাগিল ; কিন্তু কোন করুষ জাহাজই বন্দবেব বাহিবে ছিল না। তখন উষাকালে একদল জাপানী জাহাজ সম্পূর্ণ নূতন প্রথাষ নূতন কৌশলে নিৰ্ম্মিত “মাইন” পোর্ট আর্থব বন্দবেব বাহিবে স্থানে স্থানে স্থাপিত করিতে লাগিল। শীঘ্রই দুৰ্গস্থ কষগণ তাহাদিগকে দেখিতে পাইয় তাহদেব উপব গোলা বৃষ্টি আবিস্ত কবিল ; কিন্তু বীব। জাপানী হৃদয় তাহাতে মুহুৰ্ত্তেব জন্য ভীত হইল না। তাহারা নীবাবে তাহাদেব ভয়াবহ বিস্ময়জনক ও শক্ৰগণের সর্বনাশক: - মৃত্যু যন্ত্র “মাইন” সকল সমুদ্রে স্থাপিত কবিতে লাগিল ! এদিকে মাকাবাফ তাহাদেব অসমসাহসিক কাৰ্য্য দেখিয়া, তৎক্ষণাৎ ছয়খানি করুষ টাবপেডো বোট তাহাদিগকে আক্রমণ কবিতে প্রেরণ কবিলেন। আজ এই প্ৰথম রুষ সাহস করিয়া শত্ৰুগণকে আক্রমণ কবিতে অগ্রসব হইলেন। পূৰ্ব্বেব ন্যায় রুষ আব্ব নিশ্চিন্ত বসিয়া নাই। রুষ জাহাজ বন্দবেব বাহিবে আসিয়া, তিনখানি জাপানী যুদ্ধপোত দেখিতে পাইল । জাপানী কাপ্তেন আমাই এই সকল জাহাজেব সেনাধ্যক্ষ ছিলেন। তঁাহাব অধীনে তিনখানি জাহাজ,--আর ছয়খানি রুষ জাহাজ তঁাহাকে আক্রমণ কবিতে আসিতেছে! ইহাতে তিনি ভীত হইলেন না ; প্ৰবল বেগে রুষ জাহাজের উপর নিজ তিন জাহাজ