পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

No রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । আবায় সেই ভয়ঙ্কর অগ্নিবৃষ্টি । একখানি রুষ জাহাজের কাপ্তেম হত। হইলে, লেফটেনাণ্ট সেনাধ্যক্ষ হইলেন, কিন্তু তিনি ও তাহার সহকারী লেফটেনাণ্ট দুইজনই শীঘ্ৰ হিত হইলেন। তখন জাপানিগণ জাহাজ দখল কনিয়া , দেখিলেন যে ৩৫ জনেয় খণ্ড বিখণ্ডিত দেহ ভেকের উপর পত্তিও রহিয়াছে; অপর সকলে-পাছে জাপানী কর্তৃক ধৃত হয় বলিয়া সমুদ্রে ৰূপ দিয়াছে। জাপানিগণ তাহদের প্রাণ রক্ষার জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা পাইতে লাগিলেন, কিন্তু দুৰ্গ হইতে তঁহাদের উপায় গোলা বৃষ্টি হইতেছিল, সুতরাং তঁহাৱা অগত্যা অনিচ্ছাসত্বে এই হতভাগ্যাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া যাইতে বাধ্য হইলেন । জাহাজ খানিতে তখনও দুই জন রুষ একটা প্ৰকোষ্ঠে দরজা বন্ধ করিয়া লুকাইয়াছিল। জাপানিগণ তাহদের দরজা খুলিয়া বাহিরে আসিবার জন্য পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করিল, কিন্তু তাহারা তাহদের কথায় কৰ্ণপাত করিল না,-পর মুহূর্কে জাহাজ ডুবিল, সেই সঙ্গে সঙ্গে এই দুই হতভাগ্যও ডুবিয়া ময়িল। দ্বিতীয় জাহাজখানি প্ৰাণপণ যুদ্ধ কবিতে করিতে বন্দবোব দিকে আশ্ৰয় লইবার জন্য যাইতেছিল। সে দ্রুতগামী থাকায় প্ৰায় বন্দবের নিকট আসিয়া পড়িল। এ দিকে আড়ামিরাল মাকালিফ তাহাব দুর্দশা দেখিয়া, স্বয়ং নাভিক নামক যুদ্ধপোতে উঠিয়া বয়ান নামক যুদ্ধপোত সঙ্গে লইয়া বন্দর হইতে বাহির হইলেন, কিন্তু তাহাকে আর অধিক দূর যাইতে হইল না। তিনি দেখিলেন, জাপানী ক্রুজার জাহাজ শ্রেণী তাহদের টরপেডো বোট সকল রক্ষার্থে অগ্রসব হইয়াছে। শ্রেণীবদ্ধ হইয়া অতি অপরূপ যুদ্ধ সজায় তাহারা অগ্রসর হইতেছে! ইহাদের সহিত বন্দরের বাহিরে, দুর্গের কামানেব দুবে, যুদ্ধ করা কেবল মৃত্যুকে ডাকিয়া আনা মাত্র ; তাহাই মাকারিফ দুঃখিতন্তঃকরণে বন্দরে ফিরিলেন । কিন্তু জাপানিগণ আজ রুষকে দেখা দিয়া ফিরিয়া যাইবার জন্য আসেন নাই ! জাপানী ক্রুজার জাহাজগুলির পশ্চাতে স্বয়ং আডমিরাল