পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चिडोब्र अशशूक। 8. টোগো ছয়খানি বৃহৎ জাপানী ব্যাটেলসিপ লইয়া অগ্রসর হইলেন। ক্রুজার জাহাজগুলি টরপেডো বোটগুলির সহায়তায় নিযুক্ত হইল। টোগো উপহার ছয় যুদ্ধপোত লইয়া পোর্ট আর্থারের পশ্চিম দিকে লিওটিসান উপদ্বীপের পার্থে সারি সারি স্থাপিত করিলেন। এখানে দুর্গের গোলা তাহার কোন জাহাজ স্পর্শ করিবার সম্ভাবনা ছিল না ; অথচ তাহার জাহাজের প্রত্যেক গোলা দুর্গে ও বন্দরে পতিত হইয়া পোর্ট আর্থার বিধবন্ত করিয়া ফেলিবে । ঠিক তাহাই ঘটিল ! বেলা ১০টাব সময় হইতে টোগোর ছয় জাহাজ গোল উদগীরণ করিতে লাগিল! সে গোলা ও অগ্নিবৃষ্টির বর্ণনা করিয়া সে ভয়াবহ ব্যাপার যে কি, তাহা উপলব্ধি করিয়া দিবার ক্ষমতা কাহায়ই নাই! এদিকে জাপানী ক্রুজার জাহাজগুলি ঠিক পোর্ট আর্থার দুর্গের সম্মুখে সমুদ্র মধ্যে সাবি সারি দণ্ডায়মান হইয়াছিল। জাপানী সকল যুদ্ধপোতেই তারশূন্য টেলিগ্রাফের বন্দোবন্ত ছিল ; সুতরাং এক জাহাজ হইতে অন্য জাহাজ অদৃশ্য থাকিলেও, পরস্পরে। অনায়াসে এক হইতে আপরে টেলিগ্ৰাফ পাঠাইতে পারা যাইত। টোগোর জাহাজ পোট আর্থায়ের কি সৰ্ব্বনাশ সাধিত করিতেছে, টোগো তাহা দেখিতে পাইতেছিলেন না ; কিন্তু তাহার ক্রুজার জাহাজ সকল সমস্তই দেখিতে পাইতেছিল এবং প্রতি মুহুর্তেই তাহাবা সেনাপতিকে তারশূন্য টেলিগ্ৰাফ সাহায্যে সংবাদ দিতেছিল। টোগো ‘হাই আঙ্গেল” গোল চালাইতেছিলেন। তিনি গোলা আকাশের দিকে উচ্চে নিক্ষেপ করিতেছিলেন ; সেই গোলা ঘুরিয়া দুর্গের উপর ও বন্দরের জাহাজে পড়িয়া শত হন্তের মধ্যে আর কিছুই রাখিতেছিল না ! এরূপ সুবন্দোবস্তের ও সুকৌশলের বোম্বার্টমেণ্ট বা জাহাজ হইতে দুৰ্গ আক্রমণ আর কেহ কখনও দেখেন নাই। রুষগণ কি নীরবে এই ভয়াবহ প্ৰহার সহ করিতেছিলেন ? না,- তাহারাও নিশ্চিন্ত ছিলেন না। টোগোর জাহাজে দুর্গ হইতে গোল