পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Riva ● ছিলেন। ষ্টারপেটস্কি যে কুষ সেনাধ্যক্ষগণের মধ্যে একজন অতি বিচক্ষণ যোদ্ধা, তাহা সকলেই বিশেষ অবগত ছিলেন। জেনারেল মিরনফ রুষের একজন প্ৰসিদ্ধ যোদ্ধা। সেনাপতি ষ্টসেল পোর্ট আর্থার দুর্গের অধিপতি ছিলেন ; কিন্তু তিনি জাপানিদিগের সাহিত যুদ্ধে বিশেষ বিচক্ষণতা প্ৰদৰ্শন করিতে পারিতেছেন না ; এইজন্য কথা হইতেছে যে তঁহার স্থলে সেনাপতি স্মিরনফই নিযুক্ত হইবেন। স্মিরনফ তুরস্ক যুদ্ধে মহাবীরত্ব প্ৰদৰ্শন করিয়া সম্রাটের নিকট ১৬টীি স্বর্ণপদক পুরস্কার লাভ করিয়াছিলেন। মেজর জেনারেল ভেলিচে রুষের প্রধান ইজিনিয়ার। মাথুরিয়ায় রেল পোল প্ৰভৃতি রক্ষা ও বিস্তৃতি, টেলিগ্ৰাফ, টেলিফো প্ৰভৃতি স্থাপন ও আধুনিক যুদ্ধ উপকরণ নিৰ্ম্মাণ প্রভৃতি কাৰ্য্যে সর্বদাই একজন প্রধান ইঞ্জিনিয়ারের আবশ্যক। সেনাপতি কুরোপাটুর্কিন ভেলিচোকে স্বয়ং সঙ্গে লইয়া আসিয়াছিলেন ; সুতরাং তঁাহার বিচক্ষণতা ও সুদক্ষতার অধিক পরিচয় নিম্প্রয়োজন । বলা বাহুল্য এতদ্ব্যতীত আরও বহু স্বনামখ্যাত রুষ সেনাধ্যক্ষ এই যুদ্ধে উপস্থিত হইয়াছিলেন। র্যাহাদের নাম উল্লিখিত হইল, তাহারাই প্ৰধান। সর্বদাই যুদ্ধ-বৰ্ণনায় তাহদের নাম উল্লেখের আবশ্যক হইবে। ইহঁদের অনেকে এই মহাযুদ্ধে স্ব স্ব পূর্ব গৌরব জলাঞ্জলি দিয়া কলঙ্কের ডালি মাথায় লইয়া দেশে ফিরিলেন ; এবং আবার অনেক অজ্ঞাতনাম যোদ্ধা যুদ্ধে মহাবীরত্ব প্ৰদৰ্শন করিয়া এক দিনে জগৎ খ্যাত হইলেন। এইতো গেল। রুষ সেনাধ্যক্ষগণের কথা। এক্ষণে কোন কোন জাপান মহারাধী এই যুদ্ধে অবতীর্ণ হইলেন, তাহাঁই দেখা যাউক । জাপান সেনানায়কদিগের মধ্যে সৰ্ব্ব প্ৰথমেই মহাযোদ্ধা মারকুইস জাগামাটার নাম করিতে হয় । তিনি এক্ষণে সত্তর বৎসর বয়স্ক বুদ্ধ ও যাদ্ধ সভােব প্ৰধান