পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

if ፴፬ዓ কোরিয়ার তিন দিকেই সমুদ্র ; সুতরাং কোরিয়ার বন্দরের অভাব ছিল না। ইহার চারিদিকেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক বন্দর ছিল। ইহাদের BBD DBB sD S D BBDDD SBDDD BDBD DB নখদৰ্পণ করিয়াছিলেন ;-তাহারা ইচ্ছামত জাপান হইতে কোরিয়ার যে কোন বন্দরে সেনা আনয়ন করিতে পারিতেন । আমরা পুর্বেই দেখিয়াছি যে তাহারা প্ৰথমেই চিমলপোতে সৈন্য আনিয়া, কোরিয়ার রাজধানী সিওলে অভিযান করিয়াছিলেন। চিমলপো সিওলের নিকটস্থ বন্দর ; বিশেষতঃ এই বন্দর হইতে সিওল পৰ্য্যন্ত ভাল রাস্তা ছিল। অন্যান্য বন্দর হইতে রাস্তা ছিল না বলিলেও অত্যুক্তি হয় না ; কিন্তু এই বন্দরে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধপোত সৰ্ব্বদাই থাকিত। জাপান এই বন্দরে সৈন্য আনিলে, সে সংবাদ গোপন থাকিবে না। তাহাই জাপান এ বন্দর ত্যাগ করিয়া কোরিয়ার অন্য বন্দরে সৈন্য লইয়া যাওয়া ভিতরে ভিতরে স্থির করিলেন। তঁহার কোথায় কত সৈন্য লইয়া যাইতেছেন, তাহা কেহই কিছু জানিতে পারিল না। কিন্তু রুষ মাথুরিয়ায় যত সৈন্য আনিলেন, তাহা সকলেই জানিতে পারিল) কোরিয়ার উত্তর দিকে বিস্তৃত জুলু নদী। এই নদীর অপর পারে মাথুরিয়া প্রদেশ। এ পারে কোরিয়া রাজ্যের উইজু নামক একটী সহর। এই যুদ্ধের পূর্বে রুষগণ। জুলু নদীর এ পারে কখনও সৈন্য আনয়ন করেন নাই ;-কিন্তু যুদ্ধ ঘোষিত হইবার পূর্বেই, ২রা ফেব্রুয়ারি তারিখে, রুষগণ সসৈন্তে জুলু নদী পার হইয়া। উইজু সহর দখল করিয়া বসিয়াছিলেন ; সুতরাং বলিতে হয়-তাহারাই প্ৰকৃতপক্ষে প্ৰথম এ যুদ্ধের সূত্রপাত করিয়াছিলেন। ২রা ফেব্রুয়াৰি হইতে ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৪৫০০ রুষ সৈন্য জুলু নদীর এ পারে আসিল। তাহদের মধ্যে তিন হাজার উইজু সহরে রহিল ; এক হাজার ১০৮ মাইল দূরস্থিত কোরিয়ার ক্ষুদ্র সহর চোসানে উপস্থিত