পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোরিয়া। đấố বসিলেন। সে অধিকার তাহারা আর এ পৰ্য্যন্ত ত্যাগ করেন নাই। সেই দিন হইতে কোরিয়া একরূপ জাপানী সাম্রাজ্যের অংশীভূত অধীন রাজ্যে পরিণত হইয়াছে ! জাপানিগণ সিওল হইতে ফুসান নামক স্থান পৰ্য্যন্ত রেলপথ নিৰ্ম্মাণ করিতেছিলেন ; এক্ষণে তাহা যত শীঘ্ৰ সম্পূর্ণ হয়, তাহার জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা পাইতে লাগিলেন। কেবল ইহাই নহে;-তিন হাজার ইনজিনিয়ার সিগুল হইতে জুলু নদীর তীরস্থ উইজু সহর। পৰ্যন্ত একটী ছোট রেলপথ নিৰ্ম্মাণে তৎপর হইলেন। বলা বাহুল্য সঙ্গে সঙ্গে টেলিগ্রাফ ও টেলিফে লাইনও বসিতে লাগিল। সেনাপতি ইনুই সিওল রক্ষার উপযুক্ত সৈন্য তথায় রাখিয়া, কাল বিলম না করিয়া পিংযাং যাত্ৰা করিলেন। পথের দারুণ কষ্টে কষ্ট জ্ঞান নাই! সে অসহনীয় শীতের বর্ণনা হয় না ; তবুও জাপানিগণ কোন কষ্ট না মানিয়া, রুষের আগমনের পূর্বে পিংযাং অধিকার করিয়া বসিলেন। পশ্চাতে ধারাবাহিক রূপে জাপানী সৈন্য পিংযাংএ আসিয়া উপস্থিত হইতে লাগিল। রুষগণ পিংযাং অধিকার কবিবার চেষ্টা পাইলেন না ; বরং র্তাহাঙ্গের যে ৫০০ শত সেনা আন্জুতে কামান সহ উপস্থিত হইয়াছিল, তাহারা পশ্চাৎপদ হইল। এক্ষণে জাপানিগণ কোরিয়াব উত্তরাংশে যেন সহসা এক লৌহ প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ করিলেন। পূর্বে জেনসান বন্দর-পশ্চিম চিনামূপে বন্দর। দুই বন্দর হইতেই জাপান অগণিত সৈন্য পিংযাংয়ে আনিতে এক্ষণে সক্ষম। তাহারা এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত ছিলেন না। ;-দুই দিক হইতেই জাপানি সেনা পিংযাংয়ে সমবেত হইতেছিল। বিনা রক্তপাতে জাপান যাহা দখল করিলেন,-তাহাতে তঁহাদের পক্ষের বল এক দিনে শতগুণ বৃদ্ধি পাইল । সেনাপতি ইজই নিশ্চিন্ত বসিয়া রহিলেন না। তিনি পরিখা খনন, প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ প্রভৃতি দ্বারা পিংযাং সুদৃঢ় দুর্গে পরিণত করিলেন। এই দুৰ্গ মধ্যে রসদ মজুত হইতে লাগিল,-সেনাগণের বাসস্থান নিৰ্ম্মিত