পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Neo রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । হইল। যাহাতে রুষগণ তঁহাকে আক্রমণ করিয়া পরাজিত করিতে না পারেন, তিনি সাধ্যমত সে আয়োর্জন করিলেন। তৎপরে পূর্ব পশ্চিমে দুই দিকেই সৈন্য প্রেরণ করিয়া স্থানে স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিলেন ; সেই সকল দুর্গে বহুসৈন্য স্থাপিত হইল। প্রকৃতই সমুদ্র হইতে সমুদ্ৰ পৰ্য্যন্ত একটা যেন প্ৰাচীর নিৰ্ম্মিত হইয়া গেল; তাহার পশ্চাতে, জাপানিগণ কি করিতেছে, তাহ কেহই জানিতে পারিল না । জাপান তঁহার সেনাগণকে বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত করিয়াছিলেন । পিংযাংয়ে প্রথম ১ নম্বর জাপানী সৈন্যদল সমবেত হইল। চিনামূপে বন্দরে দলে দলে জাহাজ আসিতে লাগিল ; আর সেই সকল জাহাজ হইতে দলে দলে জাপানসেন নামিয়া ধীর পদক্ষেপে পিংযাংয়ের দিকে যাত্ৰা করিল। সৰ্ব্বসমেত ৫০ হাজার জাপানী সৈন্য, কামান ও অশ্বারোহী সহ, এইরূপে কোরিয়ায় আসিল। এই জাপানী ১ নম্বর সেনাদলের প্রধান সেনাপতি হইয়া আসিলেন স্বয়ং বিখ্যাত যোদ্ধা,-সেনাপতি কুরোকি । কেবল সেনা আসিল তাহা নহে। এই সকল সেনার সহিত অসংখ্য কামান ও নানা আধুনিক যুদ্ধ উপকরণ আসিল। শত শুত মণ রসাদও আসিল; সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল চলিল। ইনজিনিয়ারগণ পশ্চাতে টেলিগ্ৰাম ও টেলিফো তার বসাইতে বসাইতে অগ্রসর হইলেন। সামান্য সুচটী পৰ্যন্ত জাপানী যোদ্ধাগণ সঙ্গে আনিয়াছিলেন ; তঁহাদের কোন দ্রব্যের বিন্দুমাত্ৰ অভাব হইবার সম্ভাবনা ছিল না। যুদ্ধক্ষেত্রে এরূপ সুন্দর সুবন্দোবস্ত কলের ন্যায় কাজ আর কেহ কখনও দেখে নাই। বহু আহারীয় দ্রব্যের প্রয়োজন। এই জন্য কোরিয়াতে র্তাহারা যে সকল আহারীয় দ্রব্য ক্রয় করিতে পাইতেছিলেন, তাহা তৎক্ষণাৎ ক্রয় করিয়া লইতেছিলেন ; কিন্তু তাহারা প্ৰত্যেক দ্রব্যের নিয়মিত মূল্য দিতে ছিলেন,-রুষদিগের ন্যায় তাহারা কোন দ্রব্য কখনও কাড়িয়া লন নাই।