পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোরিয়া । Vð এদিকে জাপানী ইনজিনিয়ারগণ চিনামূপো হইতে পিংযাং পৰ্যন্ত যে রান্ত ছিল, তাহা এক সুন্দর বিস্তৃত রাজপথে পরিণত করিয়া তুলিলেন। পিংযাং সহরও এক দুর্ভেদ্য দুৰ্গে পরিণত হইল। যে সময়ে রুষগণ বা পৃথিবীর কেহই জাপান কি করিতেছেন। অবগত নহেন, সে সময়ে জাপান কোরিয়ায় ৫০ হাজার সেনা আনিয়া ফেলিয়াছেন। তিন হাজার সৈন্য সিওল রক্ষা করিতেছে ; ১০ হাজার সৈন্য কোরিয়ার নানাস্থানে স্থাপিত হইয়াছে। জাপান এক্ষণে যে কোন দিন ৪০ হাজার সেনা লইয়া রুষ আক্রমণে অগ্রসর হইতে পারেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে তঁহাদের সমস্ত বন্দোবস্ত স্থির হইয়া গেল ;-ইহারই মধ্যে ৪৫ হাজার সৈন্য পিংযাং পরিত্যাগ করিয়া অগ্ৰবৰ্ত্তী হইয়াছে। কোথায় রুষ-জাপানে মহাসমর হইবে, তাহা তখনও কেহই অবগত নহেন। কয় বৎসর পূর্বে এই পিংযাংয়ে জাপানিগণ কোরিয়া লইয়া চীনের সহিত যুদ্ধ করিয়া ছিলেন। জুলু নদীর তীরেই সে যুদ্ধের অবসান হইয়াছিল। আজ আবার জাপানিগণ সেই কোরিয়া লইয়া পৃথিবীব্যাপ্ত সাম্রাজ্য মহাপ্ৰবল প্ৰতাপান্বিত রুষের সহিত যুদ্ধের জন্য সেই পিংযাংয়ে সজ্জিত হইতেছেন। সেই জুলু নদীর তীরে আবার মহাসমর হইবে কিনা তাহা কে বলিতে পারে ? বলা বাহুল্য এই পঞ্চাশ হাজার সেনাই জাপানের সম্বল নহে। ইহা কেবল জাপানের প্রথম ১নং সেনাদল। এইরূপ ৫০৷৬০ হাজার সেনা লইয়া গঠিত আরও বহু সেনাদল জাপানে প্ৰস্তুত হইয়া আছে,-সময় মত তাহারা একে একে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইবে। সময়ে আমরা সে সকল বীর যোদ্ধাগণকে দেখিতে পাইব ;- এখন কেবল আয়োজন মাত্র। আজ পৰ্যন্ত রুষ-জাপানের অভাবনীয় স্থলযুদ্ধ আরম্ভ হয় নাই, কিন্তু হইবারও আর, বিলম্ব নাই ।