পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম স্থল-যুদ্ধ। নিকট অ্যাসিয়া পড়িল। ইহা দেখিয়া পেকচান হইতে দুই দল জাপানি পদাতিক চুটিয়া যুদ্ধস্থলে উপস্থিত হইল। ইহাদের সহিত যুদ্ধ করিবার ক্ষমতা রুষ-কসকগণের ছিল না।--তাহাই তাহারা ধীরে ধীরে পশ্চাৎপদ হইয়া সরিয়া গেল। জাপানী অৰ্থ কাসাকিদিগের অশ্ব হইতে ক্ষুদ্র ও দুৰ্বল ছিল ; সেজন্য জাপানিগণ রুষের অনুসরণ করা যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করিলেন না । প্রকৃত পক্ষে এই দিন রুষ-জাপানের প্রথম স্থলযুদ্ধের সূত্রপাত হইল। উভয় পক্ষেই কিঞ্চিৎ রক্তপাত হইল ; তবে ইহা মহা যুদ্ধের সূচনা মাত্র। ২৮ সে মার্চ বেলা ১০ টার সময় উভয় পক্ষে প্ৰকৃত যুদ্ধ আরম্ভ হইল। রুষ সেনাপতি মিসচেনকে উইস্কুতে শিবির সন্নিবেশ করিয়া বসিয়া আছেন ; দলে দলে তাহার অশ্বরোহী কসকগণ শত্রুর অনুসন্ধান লাইতেছে এদিকে জাপানিগণ পিংযোংয়ে তাহদের প্রধান কেল্লা স্থাপিত করিয়া, দিন দিন জুলু নদীর দিকে অগ্রসর হইতেছে! মধ্যে মধ্যে রুষগণ জাপানি প্রহরীগণকে দেখিয়া তাহাদিগকে যুদ্ধে প্রলোভিত করিতে চেষ্টা পাইতেছে। কিন্তু জাপানিগণ এরূপ যুদ্ধে সম্মত নহে; তাহারা রুষগণকে দেখিয়া, সরিয়া-যাইতেছে। ২৭ সে মার্চ রুষ সেনাপতি শুনিলেন যে চংফু নামক স্থানে চারি দল জাপানী অশ্বারোহী আগমন করিয়াছে। ইহাই তাহাদিগকে আক্রমণ করিবার উপযুক্ত সময় বিবেচনা করিয়া, রুষ সেনাপতি বহু কসাক অশ্বারোহী লইয়া স্বয়ং তাহাদিগকে আক্রমণ করিতে অগ্রসর হইলেন । * তাহার বিশেষ কারণও ছিল। রুষের প্রধান সেনাপতি কুরোপাটুকিনি হারবিনে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন। তাহার নামেই রুষ সেনাগণ উৎসাহে উত্তেজিত হইয়া উঠিয়াছে ; তাহারা যুদ্ধের জন্য ব্যগ্র ও উন্মত্ত হইয়াছে। আরও কারণ, রুষ সেনাপতি মিসচেনকে প্ৰথমেই জাপানিদিগকে পরাজিত করিয়া একটু বাহাদুরি লইবার জন্য ব্যগ্ৰ হইয়াছিলেন। তঁহার সৈন্যগণও সর্বপ্রকারে কষ্ট পাইতেছিল;-তাহারাও