পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । ক্ৰমে চঞ্চল হইয়া উঠিতেছিল;-আর তাহদের নিষ্কৰ্ম্ম বসাইয়া রাখিলে, বিপদের আশঙ্কা আছে-এই সকল কারণে তিনি চাংচুতে জাপানী সেনা আসিয়াছে শুনিয়াই তাহদের আক্রমণ করিতে অগ্রসর হইলেন । চংজুতে কেবল জাপানী একদল অশ্বারোহী ও একদল পদাতিক মাত্র ছিল। তাহদের সংখ্যা দুই শতের অধিক নহে। রুষসেনাপতি ৫৬ শত অশ্বারোহী লইয়া তাহদের আক্রমণ করিলেন। জাপানিগণ হটিয়া আসিয়া সহরের গৃহে গৃহে আশ্রয় লইয়া গুলি চালাইতে লাগিল;-উভয় পক্ষেই অনেকে হত আহত হইল। কিন্তু জাপানিগণ সংখ্যায় অল্প হইলেও প্ৰাণপণে যুদ্ধ কবিতে লাগিল। যুদ্ধে পশ্চাৎপদ হওয়া জাপানিগণের নিয়ম নহে। তাহদের অনেকেই হত আহত হইতে লাগিল, তবুও তাহার এক পদও নড়িল না। এই সময়ে তিন দল জাপানী অশ্বারোহী মহাবেগে চংস্কুতে উপস্থিত হইল। দুই দল সহরে প্রবেশ কবিয়া শত্রুর প্রতি গুলি চালাইতে আরম্ভ করিল। করুষগণ বলেন যে অপর দল রুষের গুলি সহ করিতে না পারিয়া ছোড় ভঙ্গ হইয়া পড়িল। এক ঘণ্টা এইরূপ যুদ্ধ চলিল। রুষগণ সহরের বাহিরে ক্ষুদ্র পাহাড়ের পশ্চাতে নিজ নিজ আশ্ব রাখিয়া পাহাড়ের উপর উঠিয়া তথা হইতে গুলি চালাইতেছিল। তাহদের গুলিবৃষ্টির জন্য জাপানিগণ সহরের গৃহ ত্যাগ করিয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করিতে পারিতেছিল না। উভয় পক্ষেই প্ৰতি মুহুর্তে অনেকে হত আহত হইতেছিল। এরূপ যুদ্ধে কোন পক্ষেরই জয় হইবার সম্ভাবনা ছিল না। এই সময়ে চারিদিল জাপানী পদাতিক মহাদৰ্পে সহরের দিকে অগ্রসর হইয়া আসিল। ইহা দেখিয়া রুষ সেনাপতি বুঝিলেন যে আর যুদ্ধ করিলে হারিতে হইবে ;-তােহাঁই তিনি সৈন্যগণকে অশ্বারোহণ করিয়া পশ্চাৎপদ হইতে আজ্ঞা দিলেন । তাহারা তৎক্ষণাৎ নিজ নিজ অশ্বে আরোহণ করিয়া। উইজুব দিকে ধাবিত হইল। বলা বাহুল্য জাপানিগণ