বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R রূপ-লহরী। কেই বা কুৎসিতা ? গঙ্গা-স্নানের সময় তাহারা চপলা-বিকাশের ন্যায় একবার একনজর আমাদিগকে দেখিয়া লইতে চেষ্টা করে. কিন্তু দেখার মত দেখা হয় না। তাহারা কি জানি কি ঘুমঘোরে কি চােখে দেখেছি তোরে,- এই ভাবে আমাদিগকে দেখে, আর কেবল সুন্দরী দেখে । এক একটা পুরুষ আবার এমন সৌন্দৰ্য্য-পাগলা যে, পুরুষমানুষকেই সুন্দরী সাজাইয় তাহার সৌন্দর্ঘ্যে বিভোর হইয় পড়ে। বঙ্কিমচন্দ, দেবেন্দ্রনাথকে হরিদাসী বৈষ্ণবী সাজাইয়া, তাহার রূপে পাগল হইয়াছিলেন ;- সে রূপ বর্ণনা করিতে করিতে বঙ্কিমচন্দ্রের দেড়সের লাল পড়িয়াছিল। গলায় দড়ি ! বাঙ্গালাদেশে কি আর মেয়েমানুষ ছিল না। গা ! আবার এক রকমের পুরুষ আছে, যাহারা ঘোমটার উপর চটিয়া, অবরোধ-প্রথার উপর অভিমান ৰুরিয়া বলে যে, স্ত্রীজাতি সুন্দরী-নহে-সৌন্দৰ্য স্ট্রীলোকের একচেটিয়া নহে, রূপবান পুরুষই । এই দলের মধ্যে ৬৮ রাজকুষ্ণ মুখোপাধ্যায়ই চাই ছিলেন । তিনি বলিতেন, পুরুষের দাড়ি আছে, গোফ আছে, পুরুষ সিংহের কেশর আছে, পুরুষ-ময়ূরের নানাবর্ণের পাখা আছে, পুরুষকোকিলের স্বর আছে, পুরুষ-বুলবুলীর ঝুটি আছে, পুরুষ-বুষের ককুদ আছে, পূরুষ-হস্তীর দাঁত আছে, সুতরাং পুরুষ সুন্দর, পুরুষ রূপবান। এ সকল কথা নিরাশ প্ৰাণের কথা। দেখ না, দেখিতে পাও না, দেখিতে জান না। ;-তাই বুঝি না, আমরা কেমন, কত সুন্দর । আমাদের মন হরণ করিবার জন্য,--আমাদের সেবা করিবার জন্য, তোমাদের রূপ,—তোমাদের ঐশ্বৰ্য্য! আমরা: