বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t a I جملي r a حد- د – = ملي له مخي د سي • e r* , Fir আমি দাসী হইলেও দেবীর মৰ্ম্ম বুঝি, তাইসে কথাটা আগে বলি । এখন যে রকম ঘরে ঘরে দেবীর পূজা হয়, তাহাতে পিতৃপুরুষের শুল্কমুখে তিলাঞ্জলিদানটা পূর্বেই করিয়া রাখা ভাল ! নইলে সে কাজটা সার-বছর আর হইবে না, দেশ-কাল-পাত্র বিবেচনা করিলে হওয়া সম্ভবও নয়। দেবীর আরাধনা শুক্লপক্ষে হয়, তাই গৃহদেবী যাহাই হউন না কেন, তিনি চারুচন্দিকার্দীপ্তিময়ী, আর পিতৃকাৰ্য্য কৃষ্ণপক্ষে হয়-কালা আদমীর কাৰ্য্য কি না ।” “পূজা আসিয়াছে, স্বামীও নিকটে আসিয়াছেন, জেলা আদালতের ছুটিও একমাসব্যাপী, কিন্তু ঐ দেখ না, তিনি দারজিলিং যাইবেন বলিয়া গ্লাডষ্টোন ব্যাগে কাপড় গুছাইতেছেন । তবে কেন না বলি, আমি কুরূপা ! দারাজিলিঙ্গে চির-তুহিনবিমণ্ডিত কাঞ্চনজঙ্ঘা আছে, তুহিনধবলকান্তি বিদেশিনী বিহার করিতেছে, সে দেশে পুরুষ যাইবে না কেন ? আবার এখনও কি বলিব, আমি কুরূপা ।” “কিন্তু আমার রূপ আছে। সে রূপ, আমার রূপ কি আমার অবগুণ্ঠনের রূপ, জানি না ; কিন্তু পাড়ার অনেক মৰ্কটই অবগুণ্ঠনবতী আমার প্রতি কি-জানি’ কেমন ভাবে মাঝে মাঝে তাকাইয়া থাকে। যখন তাকায়, তখন আমাতে দেখিবার কিছু আছেই। পুরুষের রূপ দেখিবারই আকাঙ্ক্ষা :-যখন আমাকে দেখিয়া রূপের অন্বেষণ করে, তখন বোধ হয়, আমাতে রূপ আছে । কিন্তু সে রূপ আমার স্বামীর দৃষ্টিতে বি-রূপ, কাজেই ভয় হয়, আমার রূপ নাই ।” রূপের কথা এত বলিলাম কেন, জান ? পুরুষ-লিখিত নাটক নভেল প্রভৃতি সকল পুস্তকেই স্ত্রীলোকের রূপ-বৰ্ণনার বান্ত ল্য