বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झश्र-लश्ठ्ठी । yr حکم - سیمه حصې په سم مو - হইতে কোন সামগ্ৰী লইয়া যাইলে তুমি সুখী হও, পত্রপাঠ আমাকে লিখিয়া পাঠাইবে।” ইত্যাদি ইত্যাদি। বল দেখি ভাই, এখনও কি আমি সুন্দরী!”. “পরদিন ষষ্ঠীর প্রাতঃকালে নগেন্দ্ৰ আমাদের বাড়ী আসিল । নগেন্দ্ৰ আমার শ্বশুরের প্রতিপালিত দরিদ্র সস্তান, দূরসম্পর্কে শ্বশুরের ভাগিনেয়। নগু ঠাকুরপো আসিয়াই হাত মুখ না ধুইয়াই আমাকে বলিয়া পাঠাইলেন, “বউঠাকুরুণ, আপনাকে আজ আমার সঙ্গে সুখচরে যাইতে হইবে, আমি টানা গাড়ীতে লইয়া যাইব ।’ এ কথার উপর উত্তর নাই, হিন্দুরমণীর শ্বশুর-গৃহই সৰ্ব্বস্ব, সুতরাং আমাকে সেই দিনেই যাইতে হইল।” । “আবার সেই ঘোড়ার গাড়ী ! একদিন সন্ধ্যার সময় এই ঘোড়ার গাড়ীতে চড়িয়া মেজবাউকে বড় সুন্দরী দেখিয়াছিলাম, আর আজ অপরাহে ঘোড়ার গাড়ীতে চড়িয়া নগেন্দ্ৰকে অতি সুন্দর দেখিতেছি। এক একবার মনে হইতেছে যে, আমার এই পাস-ঢাকা কুরূপ কোথাকার মলয়পবনের ফুৎকারে যেন নূতন ভাবে জ্বলিয়া উঠিয়াছে।” “কেন এমন হয় ?—অতি-পরিচয়ে রূপের অভাব-বোধ, অপরিচিতের কাছে রূপের এমন প্রভাববোধ-কেন হয় ? পথে যাইতে যাইতে নগেন্দ্ৰ একবার আমাকে বলিয়াছিল, ‘বউ, তোমার নাম কালিন্দী কেন হইল, তোমার ত বেশ রূপ, দাদাই বা দারাজিলিং গেলেন কেন ?" এই কথাগুলি শুনিয়া শুস্কভূমিতে জলবিন্দুপাতের মত কি-যেনি-একটা স্নেহসিক্ত শীতল ভাব হৃদয়ের মধ্যে ডুবিয়া গেল। আমি মরিলাম-রূপে মরিলাম, মোহে মরিলাম, ক্ষোভেও মরিলাম।” -