{ রূপ-লহরী سیار ছোটবন্ধু অৰ্দ্ধাবগুষ্ঠিত-মস্তক-সঞ্চালন দ্বারা অভিমত প্রকাশ করিয৬ সলজ্জভাবে ধীরে ধীরে উঠিয়া গেল । ( 8 ) মনোরম শ্বশুরবাড়ী আসিয়া নুতন মানুষ হইয়াছে । সে এখন সাড়ী পরে, বডিস গায়ে দেয়, নানাপ্রকার স্বণ লঙ্কার ব্যবহার করে, পঞ্চর্যঞ্জনের সকিত আতপতঙুল, ঘুতদূৰ্গন্ধ, বাদাম, পেস্ত প্ৰভৃতি আহার করিয়া থাকে, সন্ধ্যার পর লুচি-পারেট প্রভৃতি গুরুপাক দিব্য ভোজন করে, এবং সারা দিন নাটক-নভেল পাঠ করে। তাহার সীমান্তে সিন্দূরবিন্দু নাই, মণিবন্ধে লৌহ বলয় নাই, বাকি সৰ্ব্বাঙ্গেই সধবার সাৰ্ব্বলক্ষণই ধিরাজ করিতেছে । সঙ্গদৈাষে---শিক্ষার দোষে মনোরমার এই পরিবর্তন ঘটিয়াছিল। মনোরমার শাশুড়ী, মনোরমাকে বিধবার ব্ৰহ্মচারিণীর বেশে দেখিতে পারিতেন না। তিনি প্ৰায় বলিতেন,—“সেজ বৌম থান পরিয়া বেড়াইলে, আমার প্রাণ কেমন করে । আর কয় দেী যেমন খাইয়। পরিয়া হাসিয়া খেলিয়া বেড়ায়, সেজ বৌও তেমনি বেড়াকৃ । যা হবারু, তা তা হয়ে গিয়েচে, তাই বলে কি খাওয়া-পর থেকে বঞ্চিত থাকুবে ।” কাজেই মনোরমার, পােয় বার। সে যাহা ইচ্ছা, তাহাই করে, যাহা চায়, তাহাই পায়। মনোরম একটু মুখরাও হইয়াছিল, বাটীর কি-বৌ তাহাকে কোন বিষয়ের কিছু উল্লেখ করিয়া বলিলে, সে এক কথার জায়গায় দশ কথা শুনাইয় দিত, শ্বাশুড়ী-ঠাকুরাণী প্রায়ই তাহার পক্ষাবলম্বন করিয়া অনু ৱিা-বৌদের তিরস্কার করিতেন, কাজেই মনোরমার কোন কথায় কেহ থাকিত না ; ;
পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮
অবয়ব