বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফুল-কুমারী। R ww." - Y vr a হায় ! হায়! এ পোড়া রূপের জালায় আমার জীবন-যৌবন সবই বৃথা হইল ! ( 3 ) কতবার আমি আরষিতে মুখ দেখিয়াছি! আমার কক্ষপ্রাচীরের উপর একটা প্ৰকাণ্ড আরষি টােঙান আছে, আমি নিশিদিন বসিয়া বসিয়া সেই আরষিতে আমার দেহের প্রতিবিম্ব দেখিয়া থাকি । আমার যেমন নাক-কান-চোক আছে, কপোলে-কপাল-গণ্ড আছে, উরূ-ভুরু-বক্ষ আছে, অন্য সকল স্ত্রীলোকেরাও ত তেমনি আছে । গৌরবর্ণটা কিছু আমার একচেটিয়া নহে, আমিই যে পল্লীর মধ্যে সুগঠিত, তাহাও নহে। আমার মত যুবতী বাঙলা দেশে অনেক আছে, অনেক ছিল, অনেক হইবেও ; তবে কোন পাপে আমি এমন ভাবে মোহপাশাবদ্ধ হরিণীর ন্যায় দুঃখ পাইতেছি ? আমার স্বামী বলেন, তঁাহার চক্ষু লইয়া! দেখিলে আমি নিজেকে অসামান্য রূপসী দেখিব ; তাহাতে আমার লাভ কি ? আর তাহাই কি রূপ ? ইহার জন্যই আমার স্বামী পাগল ! আমার শাশুড়ী সদাই ত্ৰস্ত নিশ্চয় ললিতে পারি, প্রকৃত রূপ আমার দেহে নাই, তঁহাদের নয়নে আছে। রূপটা কেবল দৈহিক-সামগ্ৰী হইলে, আমি সে রূপ { দেখিয়া আমার স্বামীর মতন বিমূঢ় হইয়া থাকিতাম। কিন্তু রূপ খে নয়নের সামগ্ৰী ! সকলকে দেখিয়া সকলের নয়নে একধ্ৰুব কম রূপের জ্যোতি ফুটিয়া ਲੋ ਜ | মেজ। ঠাকুরপোর દ્રો কাল, তিনি সেই কাল বৌ লইয়া বেশ সুখে আছেন, আমোদ-আহ্লাদ করিতেছেন ; মেজবাউকেও ভালবাসেন