বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দোপাট ; করে। সুরূপার সর্বাঙ্গে কালশিরার দাগ, তথাপি নুরূপ স্বামীকে শিকল দিয়া বাধিতে পারে নাই। সুরূপ। প্রায় বলিত, “আমার স্বামী আমার দেবতা আমার ইহকালের সর্বস্ব, পরকালের সম্বল, মামি সেই স্বামীর সেবা করিতে পারিতেছি, আবার চাই কি ? আমি পোড়াকপালী, জন্মান্তরে অনেক পাপ করিয়াছিলাম, তাই এমন স্বামী পাইয়াও হারাইয়াছিলাম, হারানি ব্ধি ফিরিয়া পাইস্নাছি, ইহাই আমার যথেষ্ট। তবে ইন্দ্রতুল্য স্বামী পাগল হইল, সেও আমার পোড়া-কপাল ?” কান্তিচন্দ্রের উন্মত্ততার কথা ক্রমে সহ রময় রাষ্ট্র হইয়া পড়িল । , কেহ বলিল, “বেদের মেয়ে দোপাটি গুণ করিয়া বাছাকে পাগল টেরিয়াছে।” কেহ বলিল, “বেদের কৰ্ত্তম রাগ করিয়া কাস্তিত্বাবুর বুদ্ধি হবণ করিয়াছে।” ম্যাজিষ্ট্রেট র্যাভেন্সা সাহেবও এ সমাচার জানিতে পারিলেন। তিনি কাহারও কোন কথায় কৰ্ণপাত ন, ফরিয়া, সোজাসুজি কান্তিবাবুর বাসায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন । সাহেব আসিয়াছেন শুনিয়া সকলেই ধরা-বাধা করিয়া কাস্তিবাবুকে বাহিরে আমিল! কাস্তিচন্দ্র সাহেবকে দেখিয়া কেবল * দিতে লাগিলেন । পাগলের ঝোকের উপর কান্না, কান্তিচন্দ্রের রোদনের আর শেষ হয় না, নয়ন জলে তাহার বুক ভাসিয় গেল। সাহেব কাস্তিবাবুর হাত ধরিয়া মিষ্টবচনে বুলিলেন, ‘কান্তি, তুমি কঁাদ কেন, তোমার চাকুরী বুজায় আছে, তুমি আরোগ্যলাভ করিয়া আবার চাকুরী করিবে। ভয় কি ? আমি যতদিন আছি, ততদিন তোমাদের কোন ভাবনা নাই।” কান্তিচন্দ্ৰ তবুও কঁাদে—তবে সাহেবের মুখে মিষ্ট কথা শুনিয়া, কান্তিচন্দ্র অনেকক্ষণ পরে কথা কহিল।