es | °-लशौ { শেষ পড়িয়া আছে। সে মসজিদের একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষুদ্র কক্ষে বুদ্ধ মুসলমান সা-সাহেব বাস করিতেন। সেই নির্জন গহন বনে তাহার অন্ন কেমন করিয়া হইত, কে জানে ? সুরূপ দূরে লোকজন ও হাতী রাখিয়া স্বামীর হস্তধারণ করিয়া সেই পুরাতন মসজিদের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলেন। ঠিক সেই সময়েই আনাভি-লম্বিত-শুভ্ৰশ্বাশ্র আগুলফ চুম্বিত-জটাভার, গম্ভীর মুপ্তি দীর্ঘকায় গৌরবর্ণ মুসলমান-ফকির সা-সাহেব সেইখানে দেখা দিলেন। তাহার হাতে তসবী, অষ্টপ্রহর কলম জপ৷ করিতেছেন। ফকির আসিয়াই কান্তি চন্দ্রের মস্তকে বামহস্তু অৰ্পণ করিলেন। বলিলেন, “কাফর, আরাম হে যাও।” সেই গম্ভীর আদেশবাণী শুনিয়া কান্তিচন্দ্ৰ যেন কতকটা প্ৰকৃতিস্থা হইলেন। আর বলিলেন, ‘রূপো ! এ কি, এ কার রূপ । আমি কোথা ?” ঠিক এই সময়েই নিবিড় অরণ্যানী হইতে কে গাহিয়া উঠিল,-“জনম অবধি হাম রূপ নেহরিনু নয়ন না। তিরাপিত ভেল।” গান শুনিয়া কান্তিচন্দ্ৰ চমকিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “বটেই তা ! যতদিন পারিয়াছি, নয়ন দিয়া রূপ দেখিয়াছি। যখন জ্ঞানহারা হইয়াছি, তখন মনে মনে মাঝে মাঝে সে রূপ ধ্যান করিতাম, তবুও সাধ মিটিত না । সুরূপা, আজ তোমায়ুও বড় রূপসী দেখিতেছি, চল বাতী চল। আমার ছদগম্ভক রূপের হতাশন রাবণের চিতার হ্যায় অহরহ জ্বলিতেছে, তোমার অপার স্নেহের শীতল জলকণা সেবন করিয়া সে অগ্নিজালা নিভাইতে চেষ্টা করিব । যতদিন দেহ থাকিবে, ততদিন রূপের ক্ষুধা থাকিবে বটে ; পরন্তু আমি আর ক্ষুধার জালায় পরের দুয়ারে গিম্বা দাড়াইব না। যিনি পরম রূপবান, তঁহারই ছায়া পাষ্টয়া
পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪
অবয়ব