বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালতী । bord খণ্ডকে আঘাত করিয়াছিলেন। সেই আঘাতে প্ৰস্তরের চিরশুষ্ক বক্ষ বিদীর্ণ হইয়া অনাবিল স্বচ্ছ সলিলপ্রবাহ কুলকুলারবে বাহির হইয়া আসিয়াছিল। মোজেসের তৃষ্ণা দূর হইয়াছিল। রসময়ও সংসারমরুতে তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইয়া সেই তৃষ্ণার তাড়নায় এতদিন কতবার নিজের হৃদয়কে আঘাত করিয়া আসিতেছিল। কিন্তু সে আঘাত এতদিন ব্যর্থ হইয়াছিল। প্ৰণয়ের যাদুব্যষ্টি না হইলে দেহীর পাষাণবিক্ষ বিদীর্ণ হয় না। রসময় সেই গ্রহণের দিন হইতেই এ যাদুব্যষ্টি লাভ করিয়াছিল। তাই আজ যুবতীর শুষ্ক, বিবর্ণ মুখমণ্ডল দেখিয়া, তাহার হৃদয় ফাটিয়া শতমুখে প্রীতির শতধারা ছুটিল,-তাহাকে ডুবাইয়া ফেলিল। ডুবাইয়া ফেলিল, কিন্তু তৃষ্ণা তাহাতে আরও বাড়িয়া উঠিল। তৃষ্ণামাত্রেই যাতনা আলার্ডে রসময়ের এ তৃষ্ণাতেও যাতনা না থাকিবে কেন? তবে রসমােজনষ্ঠু এ তৃষ্ণায় যে যাতনা, সে যাতনা সুখেরই যাতনা। কে জানে, এনুমান তৃষ্ণা ! রসময় সামলাইতে পারিল না, সহসা যুবতীর কা, ৫ ঘেঁসিয়া তাহার হাত ধরিল। কি বলিবে, স্থির করিতে না পাব্লিয়া, ঈষৎ কম্পিত্যকণ্ঠে বলিল, “এই নাও; তোমার কাপড় এনেছি সে কথায় কৰ্ণপাত না করিয়া যুবতী বলিল, “তুমি এলে যে ? আমি ভেবেছিলাম, আর বুঝি আসবে না। বেশ্য জেনে আমাকে অর দেখা দেবে না। বেশ্য কি এতই খারাপূ!” রসময়।-না, না, তা নয়, তুমি বেশ্য কেন ? আমি আসতে পারিনি। বাড়ীতে বুড়ো মা আছেন, চাকরাণী ত রাত্রিতে থাকে না । মাকে একলা রেখে আসিই বা কেমন কোরে । যুৱতী ।--দিনের বেলা আসলে ত পারতে। আসল কথা