এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শ্মশানের দেশে তুমি আসিয়াছ—বহুকাল গেয়ে গেছ গান
সোনালি চিলের মতো উড়ে উড়ে আকাশের রৌদ্র আর মেঘে,—
লক্ষ্মীর বাহন যেই স্নিগ্ধ পাখি আশ্বিনের জ্যোৎস্নার আবেগে
গান গায়—শুনিয়াছি রাখিপূর্ণিমার রাতে তোমার আহ্বান
তার মতো; আম চাঁপা কদমের গাছ থেকে গাহে অফুরান
যেন স্নিগ্ধ ধান ঝরে … অনন্ত সবুজ শালি আছে যেন লেগে
বুকে তব; বল্লালের বাংলায় কবে যে উঠিলে তুমি জেগে;
পদ্মা মেঘনা ইছামতী নয় শুধু, – তুমি কবি করিয়াছ স্নান
সাত সমুদ্রের জলে,—ঘোড়া নিয়ে গেছ তুমি ধূম্র নারীদেশে
অর্জুনের মতো, আহা,—আরো দূর ম্লান নীল রূপের কুয়াশা
ফুঁড়েছ সুপর্ণ তুমি—দূর রং আরো দূর রেখা ভালোবেসে;
আমাদের কালীদহ—গাঙুড়—গাঙের চিল তবু ভালোবাসা
চায় যে তোমার কাছে—চায়, তুমি ঢেলে দাও নিজেরে নিঃশেষে
এই দহে—এই চূর্ণ মঠে মঠে—এই জীর্ণ বটে বাঁধ বাসা।
৪৩