ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
এইবার আমরা “রূপসী বোম্বেটে” মিস্ আমেলিয়া কার্টার ও তাঁহার অনুচরগণের অনুসরণ করিব।
যে জেলে রাত্রিশেষে সমুদ্রে মাছ ধরিতে গিয়া দুইখানি ফ্ল্যাটকে একখানি জাহাজের দিকে যাইতে দেখিয়াছি,—সে একবারও সন্দেহ করে নাই যে, সেই ফ্ল্যাটে সাল্ভেরিনর প্রেসিডেণ্টকে দুই কোটী মুদ্রাসহ চুরী করিয়া লইয়া যাওয়া হইতেছে। এমন কি, মিঃ ব্লেক ভিন্ন অন্য কেহ তাহার উক্তিতে আস্থা স্থাপনও করেন নাই।
প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসনকে ফ্ল্যাটের উপর হইতে জাহাজে উত্তোলিত করা হইল; স্বর্ণমুদ্রাগুলি জাহাজের ধনাগারে রক্ষিত হইলে অমেলিয়া জাহাজ চালাইবার আদেশ দিলেন। এতক্ষণ পর্য্যন্ত বোম্বেটেজাহাজ ‘ফ্লোর-ডি-লিজ্’-এর উপরে কোনও আলোক ছিল না; জাহাজের প্রতি তীরস্থ কোনও লোকের দৃষ্টি আকৃষ্ট না হয়, এই অভিপ্রায়েই জাহাজের উপরের সমুদয় আলোক নির্ব্বাপিত করা হইয়াছিল। জাহাজ চলিতে আরম্ভ করিলে তাহার ল্যাম্পগুলি পুনঃ-প্রজ্বলিত হইল; এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই জাহাজ দ্রুতবেগে মুক্ত সমুদ্রের দিকে অগ্রসর হইল!
ফ্লোর-ডি-লিজ্ প্রথমে দক্ষিণ দিকে চলিল। ঠিক সেই সময়ে স্মিথ সমুদ্রে পড়িয়া হাবুডুবু খাইতেছিল; এবং অদূরবক্ত কর্সেয়ার জাহাজের ডেকে বসিয়া ‘টাইগার’ দূর সমুদ্রের দিকে চাহিয়া কাতর