আমেলিয়া বলিলেন, “আজ তুমি একটি নিরপরাধ রমণীর প্রতি দয়া দেখাইবার জন্য আমাকে অনুরোধ করিতেছ; সেই যুবতী তোমার প্রণয়িনী বলিয়াই তোমার এ অনুরোধ। কিন্তু তুমি কি আমার অনাথা জননীর প্রতি দয়া প্রদর্শন করিয়াছিলে? তোমার সহযোগী তস্করেরা তখন কি একবারও তাহাদের দুষ্কর্ম্মের কথা ভাবিয়াছিল? —তিনি ত তোমাদের কোনও অপকার করেন নাই; তাঁহার অপরাধ, তিনি তোমাদিগকে বিশ্বাসী মনে করিয়া তাঁহার স্বর্ণখনির সমস্ত ভার তোমাদের হস্তে অর্পণ করিয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন। তোমরা সর্পের ন্যায় তাঁহাকে দংশন করিয়াছিলে। আমাকে তোমরা ভিখারিণী করিয়াছিলে; এবং আইনের সাহায্যে তোমাদের কোনও অনিষ্ট করিতে পারিব না, এই ভরসায় নিশ্চিন্ত ছিলে। তোমাদের অত্যাচারে আমি যে যন্ত্রণা সহ্য করিয়াছি, জীবনের শেষ দিন পর্য্যন্ত তাহা আমার স্মরণ থাকিবে।—প্রতিহিংসার কথা কি বলিতেছ? তোমাদিগকে খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিয়া তোমাদের মাংস কুকুরের মুখে নিক্ষেপ করিলেও আমার মনের জ্বালা জুড়াইবে না।—তোমাদিগকে ক্ষুদ্র কীটের ন্যায় পদতলে নিষ্পেষিত করিবার জন্য আমি এত কাল ধরিয়া কি চেষ্টাই না করিয়াছি? আমি ঘৃণিত দস্যুদলে যোগদান করিয়াছি; নিজের শক্তিতে আহাদের অধিনায়িকার, পদ লাভ করিয়াছি। তাহারা আমার ইঙ্গিতে পরিচালিত হইতেছে। তাহাদের সুখ দুঃখ ক্ষতি লাভের জন্য আমিই দায়ী। তোমাকে কারারুদ্ধ করিয়া। কেবল আমার নহে, তাহাদেরও লাভ আছে; সুতরাং তোমাকে মুক্তিদানের ইচ্ছা থাকিলেও আমি তোমাকে ছাড়িতে পারিব না। ছাড়িভে পারিব না বলিয়াই, যিনি তোমাকে উদ্ধার করিতে পারিতেন। সেই ব্যক্তিকে—পৃথিবীর সর্ব্বশ্রেষ্ঠ ডিটেকটিভ মিঃ ব্লেককে হত্যা করা
পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১০
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০২
রূপসী বোম্বেটে