পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
১০৩

হইয়াছে।আমি তোমার সর্ব্বস্বান্ত করিয়াই ক্ষান্ত হইব না, যত দিন তুমি বাঁচিবে, জীবন্মৃত ভাবে দুর্ব্বহ জীবন-ভার বহন করিবে। আমার এই সঙ্কল্প কোনও কারণে ব্যর্থ হইবে না। তবে তুমি সিনর মেন্‌ডোজার কন্যার সুখ শান্তির কথা বলিতেছে; তাঁহার সম্বন্ধে কি কর্ত্তব্য, আমি তাহা ভাবিয়া দেখিব। আমি জীবনে যেরূপ অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করিয়াছি, ঈশ্বর করুন অন্য কোনও রমণীকে যেন সেরূপ যন্ত্রণা সহ্য করিতে না হয়।—এখন তুমি তোমার কারাপ্রকোষ্ঠে প্রত্যাগমন কর, আপাততঃ আমার আর কিছুই বক্তব্য নাই; তোমার প্রতি কিরূপ দণ্ডের ব্যবস্থা করিব, তাহা পরে জানিতে পারিবে।”

 প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসন আর বাঙ্‌নিষ্পত্তি না করিয়া উঠিলেন; আমেলিয়ার ইঙ্গিতে একজন প্রহরী সেখানে উপস্থিত হইয়া তাহাকে কারা-প্রকোষ্ঠে লইয়া গেল। তিনি ভয়ে আড়ষ্ট হইয়া সুত্র-চালিত পুত্তলিকার মত প্রহরীর অনুসরণ করিলেন।

 প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসন প্রস্থান করিলে আমেলিয়া তাঁহার সুসজ্জিত কেবিনে প্রবেশ করিলেন, এবং কাগজ কলম লইয়া নিম্নলিখিত পত্রখানি লিখিলেন,

 “সিনরিটা মেন্‌ডোজাকে এতদ্বারা জ্ঞাপন করা যাইতেছে যে, তাঁহার প্রণয়ী প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ প্রচারিত হইয়াছে, তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কিন্তু প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসন প্রথম জীবনে যে গুরুতর অপরাধ করিয়াছিল, এখন তাহাকে সেই অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করিতে হইতেছে। অপরাধ যেমন গুরুতর, প্রায়চিত্তও সেইরূপ কঠিন। সত্য কথা বলিতে কি, প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসন সিনরিটা মেন্‌ডোজার পাণিগ্রহণের যোগ্য নহে; অতএব এই,