১১২
রূপসী বোম্বেটে
কেহই আপনাকে চিনিতে পারিবে না।—এখন আপনাকে একটা মন্দ সংবাদ দিব, বড়ই দুঃখের সংবাদ।”
মিঃ ব্লেক ব্যগ্রভাবে বলিলেন, “কু-সংবাদ? কি সংবাদ শীঘ্র বল।”
কাপ্তেন পেণ্টল্যাণ্ড বলিলেন, “ওরিনকো জাহাজের কাপ্তেন ব্রাউন গত সপ্তাহে এখানকার বন্দরে আসিয়াছেন। তিনি আমাকে বলিয়াছেন, তাঁহার জাহাজে একটী যুবক আরোহী ছিল, তাহার নাম গেটস্। জাহাজ উত্তর আটলাণ্টিক মহাসাগরে প্রবেশ করিবার দুই দিন পরে সেই যুবক জাহাজ হইতে কিরূপে সমুদ্রে পড়িয়া গিয়াছে। তাহার আর সন্ধান হয় নাই। আপনি আমাকে বলিয়াছিলেন, আপনার একজন অনুচর এই নামে ‘ওরিনকো’. জাহাজে এখানে যাত্রা করিয়াছে;—সেইজন্যই আপনাকে এই দুঃসংবাদ জ্ঞাপন করা আবশ্যক মনে করিলাম”।
মিঃ ব্লেক কাতর ভাবে বলিলেন, “কি সর্ব্বনাশ! এ কথা কি সত্য?”
কাপ্তেন বলিলেন, “সম্পূর্ণ সত্য। আপনাকে এমন দুঃসংবাদ দিতে হইল, বড়ই দুঃখের বিষয়। আশা করি, অন্য কোনও জাহাজের লোক তাহাকে সমুদ্র হইতে তুলিয়াছে;—এমনও ত অনেক সময় ঘটে।”
মিঃ ব্লেক অশ্রুপূর্ণ নেত্রে বলিলেন, “না, সে আশা নাই।—তোমরা আমাকে অত্যন্ত বিচলিত দেখিতেছ? আমার এই কারতা মার্জ্জনা কর। সেই যুবক আমার পুত্রের ন্যায় প্রিয়তম; তাহার ন্যায় আত্মীয় সংসারে আমার আর কেহ নাই।”
কাপ্তেন পেণ্টল্যাণ্ড ও মিঃ ম্যাকে ক্ষুন্ন মনে মিঃ ব্লেকের নিকট বিদায় লইলেন। টাইগার নড়িল না, তাঁহার পাশে বসিয়া রহিল।
মিঃ ব্লেক দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরাইয়া কাতর স্বরে বলিলেন,