রূপসী বোম্বেটে
৫
মর্টন বলিল; “কিন্তু সে ত কম টাকার কাজ নয়। জিগ্স খনির সুনাম নষ্ট হইয়াছে, উহার বদনাম ডাকিয়াছে। তবে এখন যদি নূতন নূতন কল আমদানী করিয়া খন্তির ভিতর দীর্ঘকাল কাজ চালানো যায়, তাহা হইলে ভবিষ্যতে সুফল লাভ হইতেও পারে। কিন্তু সে যে বহুৎ টাকার কাজ! মিঃ কার্টার জীবিত থাকিলে যেমন করিয়া হউক উপযুক্ত টাকার সংস্থান করিতেন।” -মর্টন এমন ভাবে দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিল—যেন দুঃখে কষ্টে তাহার বুক। ফাটিয়া যাইতেছিল।
মিসেস্ কার্টার ব্যস্ত ভাবে বলিলেন, “আমি স্ত্রীলোক, কাজকর্ম্ম বুঝি না; এ সঙ্কটে আমার কর্তব্য কি বল, তোমার পরামর্শটা শুনি।”
এই সকল বিষয়ের আলোচনা করিতে করিতে উভয়ে হোটেলের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। মর্টন বারান্দার নীচে আসিয়া বলিল, “পরামর্শ আপনাকে দিতে পারি, কিন্তু আপনি কি তদরে কাজ করিতে পারিবেন? সম্পত্তি বন্ধক না রাখিলে তত টাকা কে কর্জ্জ দিবে?”
মিসেস কার্টার সোৎসুক দৃষ্টিতে মর্টনের মুখের দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোন সম্পত্তি বন্ধকের কথা বলিতেছ?”
মর্টন একবার চতুর্দ্দিকে চাহিয়া ইতস্তুত করিয়া বলিল, “আপনার স্বামী জীবিত থাকিলে জিগ্স খনিই কিছু দিনের জন্য বন্ধক দিয়া টাকা কর্জ্জ করিতেন, এবং সেই টাকায় এই দায় হইতে উদ্ধার লাভের চেষ্টা করিতেন,; সম্ভবতঃ তাহার চেষ্টা সফল হইত।”
মিসেস্ কার্টার হতাশ ভাবে বলিলেন, “কিন্তু আমার ত আর কোনও মূল্যবান সম্পত্তি নাই; জিগ্সই আমার প্রধান সম্বল। এই শেষ সম্বল হাত-ছাড়া করিব?”