১২২
রূপসী বোম্বেটে
আর কোথাও ত এই যুবককে নামাইয়া দিতে পারিব না। ইহার স্বজনেরাও তাহার পুর্ব্বে ইহার কোনও সংবাদ পাইবে॥”
কাপ্তেন স্মিথের পরিচর্যায় প্রবৃত্ত লইলেন, কিন্তু দিবা রাত্রির মধ্যে তাহার চেতনা-সঞ্চার হইল না। পর দিন প্রভাতে স্মিথ চক্ষ মেলিয়া চাহিল; দেখিল, সে একখানি জাহাজের কেবিনে সুকোমল। শয্যায় শয়ন করিয়া আছে। তাহার সর্ব্বঙ্গে বেদনা, পার্শ্ব পরিবর্ত্তনেরও শক্তি নাই!—কাপ্তেন তখন কার্যোপলক্ষে অন্যত্র গমন করিয়াছিলেন।
কাপ্তেন কার্য্যশেষে স্মিথের সহিত সাক্ষাৎ করিলে, স্মিথ তাঁহাকে তাহার বিপদের কাহিনী বলিল। কেবল তাহার প্রকৃত নাম গোপন। করিল; কি উদ্দেশ্যে সে সাল্ভেরিটা রাজ্যে যাইতেছিল—তাহাও বলিল না।
দুই একদিনের মধ্যেই স্মিথ উঠিয়া বেড়াইতে সমর্থ হইল। মিঃ ব্লেক তাহার সংবাদ না পাইয়া কিরূপ উৎকণ্ঠিত হইয়াছেন, তাহা বুঝিতে পারিয়া সে তাঁহাকে সংবাদ পাঠাইবার জন্য ব্যস্ত হইয়া উঠিল। কিন্তু কোথায় তাঁহাকে সংবাদ পাঠাইবে? যে-কোনও-একটা বন্দরে নামিবার জন্য তাহার প্রবল অগ্রিহ হইল।
তিন সপ্তাহ পরে ‘আনাবেল্’ জাহাজ টেবিল উপসাগরে প্রবেশপূর্ব্বক একটি বৃহৎ বন্দরে নঙ্গর করিল। স্মিথ কাপ্তেনের নিকট বিদায় লইয়া টেলিগ্রাফ অফিসে ছুটিল; এবং মিঃ ব্লেকের লণ্ডনস্থ ভবনে। গৃহকত্রী মিসেস্ বার্ডেলের নিকট টেলিগ্রাম করিয়া মিঃ ব্লেকের সংবাদ জিজ্ঞাসা করিল।
সেই রাত্রেই স্মিথ টেলিগ্রামের উত্তর পাইল,—“মঃ ব্লেক এখানে