পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩০
রূপসী বোম্বেটে

সিনর মেন্‌ডোজার অভ্যর্থনা করিলেন। স্মিথ শিশুর ন্যায় তাঁহাকে জড়াইয়া ধরিয়া অশ্রুত্যাগ করিতে লাগিল; সেই সকরুণ দৃশ্যে অনেকেরই চক্ষু অশ্রুপূর্ণ হইল।—টাইগার স্মিথের চারি দিকে ঘুরিয়া, তাহার পায়ে মাথা ঘসিয়া, লেজ নাড়িয়া আনন্দ প্রকাশ করিতে লাগিল।

 স্মিথ প্রথমে তাহার বিপদের কাহিনী বর্ণনা করিল।—স্মিথের কথা শেষ হইলে মিঃ ব্লেক তাঁহার কার্য্য-বিবরণ সক্ষেপে বর্ণনা করিয়া বলিলেন, “আমি আরোগ্য লাভ করিয়া সাল্‌ভেরিটা হইতে কর্শেয়ার জাহাজে পূর্ণ বেগে ভাল্‌পারেশোর দিকে চলিলাম। জাহাজখানি সেই বন্দরে এক স্নণ্টার জন্য থামাইয়া ছিলাম, কিন্তু সেখানে বোম্বটে জাহাজের কোনও সন্ধান করিয়া উঠিতে পারিলাম না; তখন পর্য্যন্ত তোমারও কোন সংবাদ নাই!—আমি বিমর্ষ চিত্তে আবার জাহাজ ছাড়িলাম।

 “বুঝিয়াছিলাম বোম্বেটে জাহাজ ফ্লোর-ডি-লিজ্‌ অনেক পূর্ব্বেই সেই পথে সুভায় গিয়াছে, সুতরাং আমি সুভায় উপস্থিত হইয়াও যে তাহাকে দেখিতে পাইব—সে আশা ত্যাগ করিলাম। এই নয় দিনের মধ্যে ফ্লোর-ডি-লিজ্‌ সুভা ছাড়িয়া কত দূর গিয়া পড়িবে, কে জানে? তথাপি সুভাতে কোনও সংবাদ পাইতে পারি ভাবিয়াই সেই দিক চলিলাম।

 “সুভায় উপস্থিত হইয়া জানিতে পারিলাম, ফোর-ডি-লিজ্‌ চারিদিন পূর্ব্বে সুভা হইতে মেলবোর্ণের দিকে যাত্রা করিয়াছে। কিন্তু আমি তাড়াতাড়ী তাহার অনুসরণ করিতে পারিলাম না; কর্শেয়ারের জীর্ণ-সংস্কারের আবশ্যক হইয়াছিল, সেই জন্য সেখানে কিছু বিলম্ব হইয়া গেল। ফ্লোর-ডি-লিজ্‌ প্রকৃতই বোম্বটে জাহাজ কি না তদ্বিদয়ে