৬
রূপসী বোম্বেটে
মর্টন বলিল, “অন্য উপায় আর কি আছে?”
মিসেস্ কার্টার হোটেলের বারান্দায় উঠিতে উঠিতে বলিলেন, “আজ রাত্রে আমি ভাবিয়া দেখিব। কাল তোমার সঙ্গে সকল কথা হইবে।”
মর্টন—“নমস্কার” বলিয়া হোটেলের বারান্দা হইতে হিসেস কার্টারের নিকট বিদায় গ্রহণ করিল।
পথে আসিয়া মর্টনের মুখ হর্ষোৎফুল্ল হইল। সে মনে মনে বলিল, “মেলবোর্ণে পুস্তক-প্রকাশকের কাজ করিয়া বিশ বৎসর কাল কত গ্রন্থকারের সর্ব্বনাশ করিয়াছি, পঁচিশ হাজারের চুক্তি করিয়া লক্ষ বহি ছাপাইয়া বিত'র করিয়াছি; কত গরীব লেখককে দিয়া কেতাব লিখাইয়া লইয়া তাহাদিগকে এক পেনিও দিই নাই; এমন বুদ্ধিমান হইয়া একটা নির্বোধ বিধবাকে ঠকাইতে পারিব না?”
(২)
উক্ত ঘটনার ছয় মাস পরে এক দিন জিগ্স খনির ডাইরেক্টর পিয়ারসন ম্যানেজার মিঃ মর্টনকে সঙ্গে লইয়া মিসেস কার্টারের সহিত তাঁহার বাঙ্গালায় দেখা করিতে চলিল। মিসেস্ কার্টার মর্টনের পরামর্শে জিগ্স ষ্টেশন একজন উত্তমর্ণেয় নিকট বন্ধক দিয়: ছিলেন; বলা বাহুল্য উত্তমর্ণ টা উপলক্ষ্য মাত্র, প্রকৃত উত্তমর্ণ। পিয়ারসন, মর্টন, মর্গান প্রভৃতি—মিসেস্ কার্টারের বেতনভোগী কর্ম্মচারীগণ। মিসেস্ কার্টার তাহার এই একমাত্র খনি বন্ধক দিয়া ‘বিনাগঙ্গ’ নামক একটি পশুপালন-ক্ষেত্রে এই বাঙ্গালায় কন্যার সহিত বাস করিতেছিলেন।—এই বাঙ্গালা ও তাহার চতুষ্পর্শস্থ ভূসম্পত্তি ভিন্ন তাহার জীবিকানির্বাহের অন্য কোনও অবলম্বন ছিল না।