বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রূপসী বোম্বেটে

হইয়া থাকিলে পূর্ব্বে সে কথা বলা উচিত ছিল; তখন আমাদের। ষড়যন্ত্রে যোগ না দিলেই পারিতে!”

 কন্যার প্রাণপণ শুশ্রুষায় মিসেস্‌ কার্টারের মূচ্ছা ভঙ্গ হইল, তিনি নয়ন উন্মিলিত করিয়া কন্যার মুখের দিকে চাহিলেন।

 আমেলিয়া করুণ স্বরে বলিলেন, “মা, মা, তুমি এত হতাশ হইও না; পরমেশ্বর আমাদের ভাগ্যে যাহা লিখিয়াছেন তাহাই হইবে। চল আমরা ইংলণ্ডে চলিয়া যাই, সেখানে আমাদের কোনও একটা উপায় হইবে।”

 কন্যার কথা মিসেস কার্টারের কর্ণে প্রবেশ করিল না, তাঁহার বিস্ফারিত নেত্রে স্বপ্ন-বিজড়িত ভাব, সে দৃষ্টি, স্বাভাবিক নহে। সেই অস্বাভাবিক দৃষ্টি লক্ষ্য করিয়া আমেলিয়া, অভ্যন্ত ভীত হইলেন। মিসেস্‌ কার্টার অস্ফুট স্বরে বলিলেন, “জন, প্রিয়তম, আমাকে ক্ষমা কর। অনেক দিন তুমি আমাকে ছাড়িয়া একাকী রহিয়াছ, আর। তোমাকে একাকী থাকিতে হইবে না আমি আসিতেছি। তোমার বড় সাধের সম্পত্তি জিগ্‌স আমি বন্ধক দিয়াছি;তুমি আমাকে বলিয়াছিলে জিগ্‌স যেন কখন হস্তান্তর না করি—কিন্তু আমি বিপদে পড়িয়া বুদ্ধি হারাইয়াছিলাম, তোমার উপদেশ গ্রাহ্য করি নাই; তুমি আমার অপরাধ মার্জ্জনা কর, আমাকে তোমার কাছে টানিয়া লও।”

 মিসেস্ কার্টার হঠাৎ নীরব হইলেন, তাঁহার মোহ অপসারিত হইল; তিনি কন্যার মুখের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “আমেলিয়া, মা আমার, তোমার পিতা মৃত্যুর পূর্ব্বে বুঝিতে পারিয়াছিলেন তাঁহার কর্ম্মচারীরা ঘোর বিশ্বাসঘাতক, তাহারা তাঁহার যথাসর্ব্বস্ব লুঠ করিতেছে; কিন্তু হঠাৎ তাঁহার মৃত্যু হওয়ায় এই সকল তস্করকে