বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
রূপসী বোম্বেটে

যুবক অতঃপর চোরের উপর বাটপাড়ী করিবার সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিল। সে মনে করিল যদি সে অর্থোপার্জ্জনে এই বুদ্ধিমতী যুবতীর সহায়তা লাভ করিতে পারে, যুবতী যদি তাহার সহিত যোগ দান করিয়া, এই লাভজনক ব্যবসায়ে প্রবৃত্ত হন,—তাহা হইলে অতি অল্প দিনের মধ্যেই বহু অর্থ উভয়ের হস্তগত হইতে পারে; “পুলিশের সাধ্য নাই তাহাদিগকে ধরে। যুবক এইরূপ সঙ্কল্প করিয়া যুবতীকে এ সম্বন্ধে তাঁহার অভিপ্রায় জিজ্ঞাসা করিবার জন্য গোপনে তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিল।—এখন আপনি বলুন দেখি যুবতী তাহাকে কি উত্তর দিয়াছিলেন?”

 আমেলিয়া নিস্তব্ধ ভাবে রাইমারের এই সুকৌশলপূর্ণ কাহিনী শ্রবণ করিয়া বলিলেন, “আপনার গল্পটি বেশ চিত্তাকর্ষক, কিন্তু আপনি কি উদ্দেশ্যে আমার কাছে এই অবান্তর কথা উত্থাপিত করিলেন—তাহা আমি বুঝিতে পারিতেছি না।”

 রাইমার তৎক্ষণাৎ পাখাখানির হ্যাণ্ডেলের স্প্রিং টিপিল, তাহার ডালা খুল্কিমাত্র অপহৃতহীরক-হারের কিয়দংশ বাহির হইয়া পড়িল। তখন রাইমার মৃদু হাসিয়া বলিল, “আপনি বুঝিতে পারিতেছেন যুবতী কৌশলে সেই হার আত্মসাৎ করিরা অন্যের অলক্ষ্যে অতি সাবধানে। অসম্ভব স্থানে লুকাইয়া রাখিলেও, পাখাসমেত হারগাছটি সেই চতুর যুবকের হস্তগত হইয়াছিল। যুবতী কোন উপায়ে যে সেই চতুর যুবকের কবল হইতে হারগাছটী উদ্ধার করিবেন, তাহার সম্ভাবনা ছিল না; এ সম্বন্ধে উচ্চবাচ্য করিলেই তাঁহার বিপদ,—তাহা তিনি জানিতেন। কিন্তু যুবক হারছড়াটী তাঁহাকে ফেরত দিতে সম্মত ছিল, সে প্রার্থনা করিয়াছিল, এইরূপ লাভজনক ব্যবসায়ে যুবতী তাহার সহায়তায় প্রবৃত্ত হউন। সম্রান্ত সমাজে যুবতী সুপরিচিতা, সর্ব্বত্রই তাঁহার