রূপসী বোম্বেটে
৩৫
এ কথা জিজ্ঞাসা করিতে পারে। রবার্ট ব্লেক এই যুবতীকে মহাশত্রু মনে করেন বটে, কিন্তু তাঁহাকে মিথ্যাবাদিনী মনে করেন না। যুবতী দুর্ব্বলের নিগ্রহপরায়ণ অত্যাচারী সম্রান্ত সমাজের শক্র হইতে পারেন, কিন্তু তিনি মিথ্যাকথা বলেন না, ব্লেক এ কথা জানেন, এবং সম্ভবতঃ একথা অস্বীকার করেন না।”
রাইমার বলিল, “সেই যুবক বোধ হয় রবার্ট ব্লেকের পরামর্শ গ্রহণ না করিয়াই আপনার নায়িকার প্রস্তাবে সম্মত হইয়াছিল। যুবতীর কথা শুনিয়াই সকল সন্দেহ দূর হয়।”
আমেলিয়া সহাস্যে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখন বল তোমার নাম কি?”
রাইমার বলিল, “এ অধীনের নাম ডাক্তার হক্স্টন রাইমার।”
আমেলিয়া সবিস্ময়ে বলিলেন, “তোমারই নাম ডাক্তার রাইমার? ও—তুমি বিখ্যাত লোক, আমি শুনিয়াছি তুমি একাধিকবার লণ্ডনের জেল ভাঙ্গিয়া পলায়ন করিয়াছিলে, কত বার রবার্ট ব্লেকের বিপুল চেষ্টা ব্যর্থ করিয়াছ! তুমি অসাধারণ ব্যক্তি।”
রাইমার বলিল, “আমার নাম আপনার অপরিচিত নহে, ইহা আমি গৌরবের বিষয় মনে করিতেছি।”
আমেলিয়া বলিলেন, “আশা করি তুমি ভবিষ্যতেও তোমার নামের গৌরব অক্ষুন্ন রাখিতে পারিবে। এখন আর কোনও কথা নয়, আমি বড় শান্ত হইয়াছি। তুমি কাল সকালে বন্দরে গিয়া যে সাদা জাহাজখানি দেখিবে, তাহাতে উঠিয়া মিস্ আমেলিয়া কার্টারের সহিত সাক্ষাৎ করিতে চাহিবে, তাহা হইলেই আমার দেখা পাইবে।”
রাইমার, এ কথা শুনিয়া মুহূর্ত্ত কাল বিস্ময়ে স্তম্ভিত হইয়া রহিল, তাহার পর বলিল, “আপলিই বিখ্যাত রূপসী বোম্বেটে আমেলিয়া