৩৬
রূপসী বোম্বেটে
কার্টার? আমি আপনার সঙ্গে চালাকি করিতে গিয়াছিলাম। অধমের গোস্তাকি মাফ্ করুন।—আজ সত্যই মণি-কাঞ্চন যোগ!”
রাইমার মজলিস পরিত্যাগ করিয়া পথে আসিয়া ভাবিল, “এবার, আর আমার সৌভাগ্যের পথ কে রোধ করে? আজ আমার এক দিন!,
পর দিন প্রভাতে ডাক্তার রাইমার অনেক টাকা ব্যয় করিয়া একটি উৎকৃষ্ট পরিচ্ছদ কিনিয়া আনিল। সেই পরিচ্ছদে সজ্জিত হইয়া সে বেলা দশটার কিছু পূর্ব্বেই বন্দরে আসিল। সেখানে সে একখানি নৌকা ভাড়া করিয়া আমেলিয়ার জাহাজের দিকে চলিল।
রাইমারের পরিচ্ছদ আগা-গোড়া সাদা। ক্যাম্বিসের জুতা হইতে মাথার হ্যাট পর্যন্ত সমস্তই সাদা। তাহার পকেটে সোনার ঘড়ি চেন, অঙ্গুলীতে মূল্যবান হীরাঙ্গুরীয়, সার্টের বোতামগুলি হীরকখচিত;—সমস্তই চোরা মাল!
রাইমারের নৌকা আমেলিয়ার জাহাজে ভিড়িলে সে নিগ্রো মাঝিকে সহর্ষে দ্বিগুণ ভাড়া ফেলিয়া দিয়া জাহাজে উঠিল। আমেলিয়া তাঁহার কর্মচারীদের পূর্ব্বেই বলিয়া রাখিয়াছিলেন; রাইমার অবিলম্বে আমেলিয়ার সম্মুখে নীত হইল।
আমেলিয়া তখন ডেকের উপর, একখানি বেতের চেয়ারে বসিয়া ছিলেন; তাঁহার পরিচ্ছদ শুভ্র। উৎসাহ ও স্ফুর্ত্তি সমুদ্রবক্ষঃ-প্রবাহিত মুক্ত সমীরণ-হিল্লোলের মত তাঁহার সর্ব্বাঙ্গে হিল্লোলিত হইতেছিল।
আমেলিয়া রাইমারের করস্পর্শ করিয়া সহাস্যে বলিলেন, “তুমি ঠিক সময়ে আসিয়াছ। ঐ চেয়ারখান টানিয়া লইয়া বসিয়া পড়। তোমার নৌকা বিদায় করিয়া দিয়াছ কি?
রাইমার বলিল, “হাঁ, কর্ত্রী।”— মে প্রথমেই তাহাকে কর্ত্রী