৩৮
রূপসী বোম্বেটে
ভাবিল, রবার্ট ব্লেক কতবার তাহার মুখের গ্রাস কাড়িয়া লইয়াছে; এই অসীম শক্তিশালিনী মহিমময়ী নারীর আশ্রয়ে থাকিতে আর তাহার ভয় কি?—রবার্ট ব্লেক আর তাহার ছায়াও স্পর্শ করিতে পারিবে না॥
তাহার মনের ভাব বুঝিতে পারিয়া তাহার ভাগ্য-দেবতা অদৃশ্য থাকিয়া হাসিতেছিলেন। অতীতের ন্যায্য অদূর ভবিষ্যতেও যদি তাহার দৃষ্টি প্রসারিত করিবার শক্তি থাকিত, তাহা হইলে সে আমেলিয়ার সহযোগিতায় সম্মত হইত কি না সন্দেহ।
দস্যু যদি চিরসুখী হইত, তাহা হইলে ভগবানের সৃষ্টি ব্যর্থ হইত।
আমেলিয়া সিগারেট টানিয়া বলিলেন, “মিঃ রাইমার, এই সালভেরিটা রাজ্য-সম্বন্ধে তোমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে কি?”
রাইমার বলিল, “না, আমি এখানে কয়েক দিন মাত্র আসিয়াছি, এ দেশ সম্বন্ধে আমার কোন অভিজ্ঞতা নাই; কিন্তু পোর্টো কষ্টা বন্দর আমার সুপরিচিত। সেখানকার অলি-গলি সমস্তই আমি চিনিয়া ফেলিয়াছি। এখানে আমার আত্মীয় বন্ধু কেহ নাই, কৌশলে এখানকার নাচের মজলিশে প্রবেশ করিয়াছিলাম।”।
আমেলিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,“প্রেসিডেন্ট পিয়ারসন সম্বন্ধে কোনও কথা জান?”
রাইমার বলিল, “এখানে আসিয়া তাহার সম্বন্ধ যে দুই চারিটী কথা, শুনিয়াছি—তাহার অধিক কিছুই জানি না।”
আমেলিয়া বলিলেন, “এখানকার গবর্মেন্টের ভিতরের খবর কিছু রাখ?”
রাইমার বলিল, “হাঁ, কিছু কিছু রাখি বৈ কি?” এ
আমেলিয়া বলিলেন, “গবর্মেন্টের ভিতরের কি খবর জানিতে পারিয়াছ? তাহা বলিতে আপত্তি আছে কি?”