পাতা:রূপসী বোম্বেটে - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
রূপসী বোম্বেটে

 রাইমার বলিল, “কোথায় রাখা হইবে কে জানে?”

 আমেলিয়া বলিলেন, “আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানিতে পারিয়াছি, এই দুই কোটী টাকার স্বর্ণমুদ্রা একখানি স্বতন্ত্র ষ্টীমারে এখানে আসিতেছে; আগামী মাসের ১৫ই, কি ১৬ই তারিখে সেই ষ্টীমার এখানকার বন্দরে, পৌঁছিবে; ১৭ই তারিখের মধ্যে নিশ্চয়ই আসিবে। আমি সন্ধান লইয়া ইহাও জানিতে পারিয়াছি যে, যত দিন গবর্মেণ্টের ধনাগারের নির্ন্মাণকার্য্যে শেষ না হয়, তত দিন স্বর্ণমুদ্রাগুলি প্রাসাদেই থাকিবে। প্রাসাদের অন্য কোনও কক্ষে রাখিলে প্রেসিডেণ্ট পিয়ারসন সকল সময় তাহার উপর দৃষ্টি রাখিতে পারিবে না ভাবিয়া সে আদেশ করিয়াছে— তাহার শয়ন কক্ষের পার্শ্বের কক্ষে সুদৃঢ় লোহার সিন্দুকে স্বর্ণ মুদ্রাগুলি রাখিতে হইবে। আর দশ জন অস্ত্রধারী প্রহরী দিবারাত্রি এই টাকার পাহারায় থাকিবে।

 “এখন কথা এই যে, সালভেরিটার গবর্মেণ্ট এই অর্থ যেভাবে খরচ করিবে, ‘আমাদের হস্তে তাহার অধিকতর সদ্ব্যবহার হইতে পারে! সুতরাং যেমন করিয়া হউক, উহা আমাদিগকে হস্তগত করিতেই হইবে।”

 রাইমার বলিল, “কম টাকা ত নয়; দুই কোটী টাকা! এত টাকা যে সামাল দেওয়াই কঠিন হইবে। আর এ বিপুল অর্থ। সরাইবারই বা উপায় কি?”

 আমেলিয়া হাসিয়া বলিলেন, “তুমি প্রথমেই যে ভড়কাইয়া যাইতেছ? আমার সকল কথা শুনিলে কাজটা অসম্ভব মনে হইবে না। এই বিপুল অর্থ অপহরণ করিবার শক্তি আমার নাই এরূপ মনে করিও না, এরূপ কঠিন কার্য্যেও আমি এই নুতন হস্তক্ষেপণ করিতেছি; এমন দুষ্কর কর্ম্মে ইতিপূর্ব্বেও আমি কৃতকার্য হইয়াছি। আমি