বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রোগশয্যায়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রােগশয্যায়

১২

সকাল বেলায় উঠেই দেখি চেয়ে
যাহা তাহা রয়েছে ঘর ছেয়ে,
খাতাপত্র কোথায় রাখি কী যে
হাৎড়ে বেড়াই খুঁজে না পাই নিজে।
দামী যত কোথায় কী হয় জমা,
ছড়াছড়ি, নাই কোনাে তার সেমিকোলন কমা।
পড়ে আছে পত্রবিহীন লেফাফা সব ছিন্ন,
এইতাে দেখি পুরুষ জাতের জাত-কুঁডেমির চিহ্ন।
পরক্ষণেই নামে কাজে মেয়ের হস্ত দুটি
মুহুর্তেকেই বিলুপ্ত হয় যেথায় যত ক্রটি।
দ্রুত হস্তে নিলজ্জ সব বিশৃঙ্খলার প্রতি
নিয়ে আসে শােভনা তার চরম সদ্গতি।
ছেঁড়ার ক্ষত আরােগ্য হয় দাগীর লজ্জা ঢাকে,
অদরকারীর গােপন বাসা কোথাও নাহি থাকে।
অগােছালাের মধ্যে থাকি ভাবি অবাক-পারা
সৃষ্টিতে এই পুরুষ মেয়ের চলেছে দুইধারা,—
পুরুষ আপন চারিদিকে জমায় আবর্জনা
মেয়ে এসে নিত্য তা'রে করিছে মার্জনা॥

জোড়াসাঁকো
১৪ নভেম্বর, ১৯৪0
দুপুর