এই তো সেদিন সাঁঝের বেলা, পেয়ালা হাতে গোপন পায়,
স্বর্গ-দূতী এল সে মোর মুক্ত-দুয়ার পানশালায়;
ব’ল্লে মোরে—পাত্র-সুধায় চুমুক দে’ নাও একটি বার—
দেখ্নু চেখে—আর কিছু নয়, সেই পুরাতন দ্রাক্ষাসার! ॥ ৪২ ॥
সেই পুরাতন দ্রাক্ষা—তাহার ন্যায়-বিধানের হউক জয়,
অমোঘ যাহার সূত্রেতে হয় সর্ব্ব ধর্ম্ম সমন্বয়।
আঙুর-চোয়া অল্কিমিয়া— রসের সেরা রসান-ভূপ,
জীবন-কাঁসার পাত্রখানা স্পর্শে ধরে সোনার রূপ! ॥ ৪৩ ॥