পাতা:রোমিও-জুলিয়েত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

واي ذي পারশ । রোমিও-জুলিয়েত । [ পঞ্চম অঙ্ক ঘুরিছে শ্মশানময় নানা শব্দ করি, হয় ভ্রম মনে তায়, ক্ষণে ক্ষণে কড়ু যেন কথা কহে কত অমানুষী স্বরে অশরীরী প্রাণিগণ দূরে কি নিকটে। কখনো বা পত্রহীন পাদপের ছায়। মাটীতে পড়িয়া হালে, হেরে মনে হয় বাহু ফুলাইছে যেন ছায়ারূপী কত, কখনো বা শূন্ত কুম্ভ, ছিন্ন বস্ত্রে ঢাকা, ভিতরে প্রবেশে বায়ু বিকট চাংকারি, শুনিয়া শিহরে প্রাণ,—সম্মুখে নেহারি যেন কোনো মানুষী বিগুস্ক শীর্ণ কায় উপুড় হইয়া শুয়ে চিতার উপরে ক্ৰন্দন করিছে খেদ স্বরে ভয়ঙ্কর । কখনো বা ঘূর্ণ বায়ু, ঘুরায়ে ঘুরায়ে তুলিছে চিতার ভয় ধূলি শূন্ত পরে, । ভ্রমে তায় হেরি যেন কত মূৰ্ত্তিধারী ; বায়ুর-শরীর প্রাণী নৃত্য করি করি নিকটে আসিয়া চক্ষে মারিয়া চপেট বলে, “হ্যারে প্রেতযোনী তবে যেন নাই ?” বলি, হাসি খিলি থিলি পলাইয়া যায় – ভয়ঙ্কর-ভয়ঙ্কর স্থান এ শ্মশান ! কত সাধে কুসুমে সাজানু কতো ক’রে তোমার বিবাহ-নিশি পালঙ্ক-শয্যায় তার চন্দ্ৰাতপ আজি এ শূন্ত আকাশ !