পাতা:রোমিও-জুলিয়েত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७ রোমিও-জুলিয়েত । [ দ্বিতীয় অঙ্ক বার নাম ক’রে আজ সন্ধের সময় তিনি লক্ষ্মীজনাৰ্দ্দনের মন্দিরে যেন আসেন-নিশ্চয় যেন আসেন।--দেখো, ভুলো না-এই কিঞ্চিৎ পারিশ্রমিক ধরে । ধাই। ছি—ছি—ও কি ও—অ, ঘেন্নার কথা ( দাতে জিব কাটা)—ছি—ছি—অধিকড়াকড়িও না। রো। (হাতে মুদ্র গুজিয়া দিয়া) আজ আরতির সময়দেখে, ভুলো না । ধাই। আর বলতে হবে না।—সন্ধের সময় তিনি সেখানে যাবেনই যাবেন।—এখন আসি,-বাবুজী, পেন্নাম হই। রো। একটু রও —দ্যাথো, আর একঘণ্টার মধ্যেই আমার একজন লোক যাবে, গিয়ে মঠের পেছনদিকের দেওয়ালের কানাচে দাড়িয়ে থাকবে।--তার হাত দিয়ে আমি একটা দড়ির সিঁড়ি পাঠিয়ে দেবে—সেইটে ফ্যানো-খুব সাবধানে রাখা হয়।--সেইটেই আজ আমার আনন্দগিরির চূড়োয় ওঠার সিঁড়ি।--দেখে ধাই, অতি সাবধানে —এখন এসো, কল্যাণ হোক। তোমার আমি মেহনোং পুষিয়ে দেবো –এসে এসো। --আর তোমার মনিবকস্তাকে আমার সংবৰ্দ্ধনা জানাইও । ধাই। বেঁচে থাকো-বেঁচে থাকে ; ঠাকুরদেবতার। তোমার ভাল করুন। শোনো বলি। রো। কি ঝি—কি বলচে গা ? ধাই। তোমার সে লোকটার পেটে কথা থাকে তো ? জানতো, কথায় বলে,— দুকাণে হয় শল মন্তঃ, চার কাণ হ’লে গোল, তার ওপরে পাড়া পড়ুশে হাটু বাজারে ঢোল।