পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গঙ্গার ঘাটে । ఫిలీ এমনই ভাবে চক্ষু মুদিয়া পথ চলিয়াছি। মা ! সে রূপের সত্যই তুলনা হয় না। পদ্মাবতীর সহিত যদি তাহার পরিণয় হইত, লক্ষ্মী-জনাৰ্দ্দনের মিলন ঘটিত ।” - বালক ব্রহ্মচারী সম্বন্ধে বামাদেবী কত প্রশ্নই জিজ্ঞাসা করিবার চেষ্টা পাইলেন । কিন্তু আর কোনও প্রশ্নেরই উত্তর পাইলেন না । কাত্যায়নী দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়৷ কহিলেন,—“মা ! আর ও সকল কথা জিজ্ঞাসা করিও না । পুরাণ স্মৃতি যতই মনে পড়িবে, ততই মন আকুল হইয়া উঠিবে। ইষ্ট-চিন্তা ভুলিয়া যাইব । যে সঙ্কল্প করিয়া পদ্মাবতীকে জগবন্ধুর চরণে অপণ করিয়া আসিয়াছি, সে সঙ্কল্প ব্যর্থ হইবে। পদ্মাবতীর ভাবনা আর যেন ভাবিতে না হয় – জগবন্ধু !—আমায় সেই সামর্থ্য দেও।” এই বলিতে বলিতে কাত্যায়নী সে স্থান পরিত্যাগ করিয়া গঙ্গার গর্ভে স্নানার্থ অগ্রসর হইলেন। বামাদেবী আক্ষেপ করিয়া সঙ্গিনীকে কহিলেন,— “কাত্যায়নী মনকে প্রবোধ দিতে পারেন। উনি আপনার কন্যাকে জগবন্ধুর চরণে সমর্পণ করিয়া আসিয়াছেন । কিন্তু আমি বোন, কি বলিয়া মনকে প্রবোধ দিই ? আমি যে আমার প্রাণের মণিকে-অঞ্চলের নিধিকে এক দিনও অঞ্চল-ছাড়। করিতে পারি নাই! দিবারাত্রি বাছাকে নয়নে নয়নে রাখিতাম,—পলকহীন-নেত্ৰে সৰ্ব্বদাই তাহার মুখের পানে চাহিয়া থাকিতাম ! কুক্ষণে উপনয়ন দিলাম, কুক্ষণে পৃথক শয্যা রচন। করিলাম, কুক্ষণে কালনিদ্রা আসিল ; কুক্ষণে নিদ্রাভঙ্গে চক্ষু şifrați, l-”