পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভৈরবনাথ-সকাশে 38వ ভৈরবস্বামী।–“ভৈরবনাথের চরণে প্রার্থনা জানাও । তিনিই তোমায় সে শুভ মুহূৰ্ত্ত প্রদর্শন করিবেন।” ভৈরবস্বামী বীরসিংহের বিশ্রামের ব্যবস্থা করিতে বলিলেন। বীরসিংহ বিশ্রামার্থ অন্তরালে গুহান্তরে আশ্রয় গ্রহণ করিলে, তৈরবস্বামী আননা-প্রকাশে আনন্দকে কহিলেন,— "আনন্দ ! আজি আমাদের বড়ই আনন্দের দিন । এই বীরসিংহকে সেনাপতি-পদে বরণ করিয়া যদি সৈন্যদল গঠন করা যায়, আততায়িগণ কখনই মিথিলার পথে প্রবেশ করিতে পরিবে না। বাবা ভৈরবনাথ বুঝি মুখ তুলিয়া চাহিয়াছেন । আর ভয় নাই। আর বিলম্বে প্রয়োজন নাই। যেখানে যেখানে আমাদের শিষ্যসেবক আছেন, এইবার তাহাদের প্রত্যেককে আহবান করার অবিশ্রাক হইয়াছে।" আনন্দ ---“আমরাও কি তবে অস্ত্র-চালনা শিক্ষা করিব ?" "না—না ! সন্ন্যাসীর ধৰ্ম্ম অস্ত্ৰধারণ নহে ”—বজ্ৰ-গম্ভীর স্বরে ভৈরবস্বামী উত্তর দিলেন। আনন্দের মনে কি জানি কেন একটা সন্দেহ উপস্থিত হইল । আনন্দ জিজ্ঞাসা করিলেন,—“ঠাকুর । আপনি পুনঃপুনঃ কৰ্ম্মের প্রাধান্য কীৰ্ত্তন করিয়া আসিয়াছেন । বলিয়াছেন,—‘কৰ্ম্ম ভিন্ন যুক্তি নাই।’ কৰ্ম্মের মধ্যে স্বদেশ-রক্ষা স্বধৰ্ম্ম-রক্ষা—প্রধান কৰ্ম্ম নহে কি ? তবে অস্ত্ৰধারণে বিরত হইতে বলিতেছেন কেন ?" ভৈরবস্বামী —“আনন্দ ! আবার সেই ভ্রান্তি! যুদ্ধ— কৰ্ম্ম বটে ; কিন্তু কার কৰ্ম্ম ? সে কৰ্ম্ম তোমার আমার নহে ; সে কৰ্ম্ম-ক্ষত্রিয়ের কৰ্ম্ম!” আনন্দ —“তবে আমার কৰ্ম্ম কি আছে ?” ۲ و » ی. بین ۰ - ۰ می ، ۷ و ۹ بہہ یہ