পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९8 লক্ষণ-সেন । এত অল্প বয়সে ব্রহ্মচারীর বেশে আমন সুন্দর বালককে ঐরূপভাবে গান গাহিতে দেখিয়া, অনেকেরই মনে নানা প্রশ্ন জাগিয়া উঠিয়াছিল। বালকের রূপ দেখিয়া, বয়সের বিষয় ভাবিয়া, ভট্টাচাৰ্য মহাশয়ও একটু চঞ্চল হইয়াছিলেন। “এ বালকের কি পিতামাত নাই ? পিতামত থাকিলে । এই কিশোর বয়সে ইহাকে কখনই গৈরিক বসন পরিতে—মস্তক মুণ্ডন দিতেন না। একি সন্ন্যাসের বয়স ?” সহসা বিদ্যুতের ন্যায় পদ্মাবতীর কথা আবার তাহার মানসপটে জাগিয়া উঠিল। তিনি আপনা-আপনিষ্ট কছিলেন,—“এই বালকের পিতামাতাও কি জগবন্ধুর নিকট সন্তান-দানের কামন করিয়াছিল ? তই কি কিশোর বয়সে বালক ব্ৰহ্মচারীর বেশ ধারণ করিয়াছে ?” এইরূপ সাত পাঁচ ভাবিয়া, কৌতুহলাত্রা হইয়া, ভট্টাচার্য মহাশয় আপন সঙ্গীকে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“এ বালকটি কে ? মহারাজ কোথা হইতে ইহাকে আনিয়াছেন ? ইহার কি পিতামাতা নাই ? এমন সুন্দর রূপ–এই নবীন বয়স-এ কেন সন্ন্যাস গ্রহণ করিল ?” সঙ্গী।–“ঐ বালকটকে মহারাজ শ্ৰীক্ষেত্র হইতে আনিয়ছেন। শুনিতে পাই, উপনয়নের পরই বালক গৃহত্যাগী হয়,পুরুষোত্তমে জগবন্ধুর চরণে আত্ম-সমৰ্পণ করে।” . ভট্টাচাৰ্য মহাশয় মনে মনে কহিলেন,—“আমি যায় ভাবিয়ছি, তাহাই ঠিক। এই বালকের পিতামাত উপনয়নে পর জগবন্ধুর চরণে ইহাকে সমর্পণ করিয়া গিয়াছিলেন ; তাহা পর হইতেই বালক ব্রহ্মচারী-বেশে ঘূরিয়া বেড়াইতেছে।"