পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আতিথ্য । Հե-> আছে তো—পুরুষোত্তমে কি ভাবে তিনি আতিথ্য-সৎকার করিতেছেন।” পদ্মাবতী।–“চিত্তপটে সকলই অঙ্কিত অাছে ! দিন নাই, রাত্রি নাই,—যখনই অভুক্ত অতিথি জগবন্ধুর দ্বারে উপস্থিত হন, জগবন্ধু তাহাকে অন্ন-দানে তৃপ্ত করেন। সে পুণ্য-স্মৃতি সদা জাগরুক আছে। কিন্তু অসামর্থ্য-হেতু মনের আশা মনেই রহিয়া গেল।” জয়দেব —“কেন পদ্মাবতী !—অমুশোচনা আসে কেন ? কোনও দিন কখনও তো তুমি অতিথি-সৎকারে পরাখুখ श्७ नों ॐ ।” পদ্মাবতী।–“অনুশোচনা আসিবুে কেন ? আজ আনন্দে হৃদয় উৎফুল্ল হইয়া উঠিয়াছে । আজ আমাদের পরম সৌভাগ্য। —অসময়ে এই অতিথিগুলি আসিয়াছেন। আর সৌভাগ্য— তাহাদের অন্নপান সংগ্ৰহ করিতে বিশেষ কষ্ট পাইতে হইবে না। আপনি তাহদের অভ্যর্থনা করুন। আমি অবিলম্বে অন্নাদি প্রস্তুত করিয়া দিতেছি।” জয়দেব আহলাদে উৎফুল্ল হইলেন। মনে মনে কহিলেন,— “জগবন্ধু! তুমি যে বলিয়াছিলে—এই অধমের গৃহে মূৰ্ত্তিমান বিদ্যমান থাকিবে, আজ যেন তাহ প্রত্যক্ষ দেখি । তোমার কুপায় এই অসময়ে যেন এই অতিথিদিগের সন্তোষ-বিধানে সমর্থ হই ;—অতিথি-সেবায় যেন কোনও ক্রটি-বিচূতি না বটে ; প্রভু!—-আজ আমাদের সেই সামর্থ্য দেও।” আবার গগনভেদী উচ্চ-চীৎকার—“হর হর ব্যোম বোম!" আসন পরিত্যাগ করিয়া জয়দেব শশব্যস্তে বহিঃপ্রাঙ্গণে