লক্ষণ-সেন را مb& ASAAAAS S ASAAAMMAAA SAAAAA AAAAMM MMAeMAMAMAAeAAA AAAAA জয়দেব রাধাপ্তামের প্রতি একদৃষ্টে চাহিয়া অঙ্গুলি নির্দেশে কহিলেন,—“ঐ—ঐ দেখুন—আমার সকল ধনরত্ব ! আপনার কি দৃষ্টি-শক্তিহীন হইলেম! ঐ দেখুন, আপনাদের চক্ষের সমক্ষে, আমার রাধাপ্তামের বক্ষে, কণ্ঠে, হস্তে, করকমলে, চরণতলে বিদ্যুজ্যোতিঃ বিকাশ পাইতেছে। ধাৰ্ম্মিক প্রবর মহারাজ লক্ষ্মণ, সেনের ধনরত্ন রক্ষা করিবার স্থান আর অন্যত্র কোথায় আছে ? ঐ রাধাপ্তামের শ্রীচরণ ভিন্ন সে মণি-মাণিক্য কোথায় শোভা পাইবে - অন্য কোথায়ই বা রাখিবার স্থান অাছে ?” এই বলিয়া ছদ্মবেশী অতিথি দমু্যদলকে সম্বোধন করিয়া জয়দেব কহিলেন,—“দেখ —দেখ!—শ্ৰীচরণে সোণার মূলুর কেমন শোভা পাইয়াছে ! দেখ—দেখ !—শ্ৰীঅঙ্গে মণি-মরকত কেমন অপূৰ্ব্ব বিভা বিকাশ করিতেছে! দেখ —দেখ —ঐকণ্ঠে কেমন কৌস্তুভমণি কোটা-স্বর্ঘ্যের ন্যায় দীপ্তিমান রহিয়াছে। তোমরা কি রত্বের অনুসন্ধান করিতেছ? ঐ দেখ—চরণতলে মণিমুক্ত-মরকতের কোটি কোটি খনি ! তোমরা কি তুচ্ছ ধনরত্বের প্রয়াসী ? ক্ষুদ্র জয়দেব -কীটাখুকীট জয়দেব-তোমাদিগকে কি ধনরত্ব দিয়া পরিতুষ্ট করিতে পারে ? সন্মুখে স্বয়ং জগবন্ধু বিদ্যমান। কি চাও-কিসের আকাঙ্ক্ষা রাখ ? করুণাময় তিনি ;—তিনি কাহারও কোনও আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রাখেন না। লক্ষ্মণ-সেন যাহা কিছু দিয়াছিলেন, তুলনায় সে অতি সামান্ত । বল—বল ; তোমরা কি চাও—বল। সম্মুখে রত্বের আকর। যাহার যাহা ইচ্ছ।--প্রার্থনা কর । প্রার্থন এখনই পূর্ণ হইবে। চাও হীরা, চাও মণিমুক্ত, চাও মরকত! বল-বল, কি চাও—কত চাও !"
