পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ লক্ষণ-সেন । ৰালকের পিতামাত বালককে প্রভুর পদে সুমৰ্পণ করিয়া আসিয়া আর তো ফিরিয়া চাইতে পারেন নাই!” কথাটা মনে করিতেই ব্রাহ্মণের নয়নকোণে অশ্রুসঞ্চার হইল। ব্রাহ্মণ মনে মনে কহিলেন;–“মা পদ্মাবতী! তোমাকেও এইরূপে প্রভুর চরণে বিসর্জন দিতে চলিয়াছি।” সঙ্গীত থাধিলে পর, রাজসভার দর্শন-শাস্ত্রের আলোচনা আরম্ভ হয়। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় ও তার সঙ্গী সেই সময় একটু অন্তরালে সরিয়| আসেন। সেখানে বসিয়াই ত{হারা পরম্পর ঐ রূপ কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছিলেন। . কথ।বর্তী কহিতে কহিতে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় অল্পমনস্ক হওয়ায়, সঙ্গী উঠিয় দাড়াইলেন ;– কাৰ্য্যন্তরে ধাইবার অভিপ্রায় প্রকাশ করিলেন ।

  • , ,

অষ্টম পরিচ্ছেদ। অপরাধ । সঙ্গী, ত্রিলোচন বসুর পক্ষ হইয়া রাজদরবারে তদ্বির করিতে নিযুক্ত হইয়াছিলেন । তদুদেশে কোনও রাজকৰ্ম্মচারীর স িও তাহার সাক্ষাৎকারের সময় নির্দিষ্ট ছিল। সেই সময়ের বিধ মনে হওয়াতেই তিনি কহিলেন– “আমি যাই। যে কার্যের ভার গ্রহণ করিয়াছি, তাহার একটু চেষ্টা করিবার সময় হইয়াছে।” ব্রাহ্মণ কহিলেন- “ভাল, জিজ্ঞাসা করিতে ভুলিয়া গিয়াছি, ত্রিলোচনের আর কোনও খোজ-খবর পাইয়াছেন কি ?”