ঐ নিয়ম। ‘কাষ্ঠ, অস্থি, পুষ্প, অণ্ড’ চলবে; ‘প্রােটোপ্লাজম, হিমােগ্লোবিন, ভাইটামিন’ মেনে নিতে হবে।
৫। বর্গবাচক শব্দের প্রাচীন বা নবরচিত দেশী নাম সহজে চলবে, যথা―‘ধাতু, ক্ষার, অম্ল, লবণ, প্রাণী, মেরুদণ্ডী, তৃণ’। কিন্তু যেখানেই শব্দ রচনা কঠিন হবে সেখানে বিনা দ্বিধায় ইংরেজী নাম নেওয়া উচিত। বােধ হয় বর্গের উচ্চতর অঙ্গে (element, compound, phylum, order, genus, species, endogen) দেশী নাম অনায়াসে চলবে। কিন্তু নিম্নতর অঙ্গে বহুস্থলে ইংরেজী নাম মেনে নিতে হবে, যেমন―‘হাইড্রোকার্বন, অক্সাইড, গােরিলা, হাইড্রা, ব্যাকটিরিয়া'।
৬। ভাব বিশেষণ ও ক্রিয়া বাচক শব্দের অধিকাংশই দেশী হতে পারবে। Survival, symbiosis, reflection, polarization, density, gaseous, octahedral, decompose, effervesce প্রভৃতির দেশী প্রতিশব্দ সহজে চলবে। কিন্তু রূঢ় শব্দ ইংরেজীই নিতে হবে, যথা—‘গ্রাম, মিটার, মাইক্রন, ফারাড'।
বহুস্থলে একটি ইংরেজী শব্দের সঙ্গে সঙ্গে তৎসম্পর্কিত (cognate) আরও কয়েকটি শব্দ নিতে হবে। ‘ফোকস, ফিনল, অক্সাইড, মিটার’এর সঙ্গে ‘ফোকাল, ফিনলিক, অক্সিডেশন, মেট্রিক’ চলবে। ছাপাখানার ভাষায় যেমন ‘কম্পােজ করা’ চলেছে, রাসায়নিক ভাষায় তেমনি ‘অক্সিডাইজ’ করা চলবে।