পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লণ্ডনে বিবেকানন্দ ইহাকে (Grcen-house) সজ্জাগার বলে। উঠানের দিকে সম্মুখ করিয়া বা-দিকে একটী স্থানে একটী লতাকুঞ্জ ছিল! গােটাকতক তারে একটা আয়তন করিয়া তাহার উপর লতানে গাছ দেওয়া ছিল। এই লতাকুঞ্জের ভিতর বসিবার মতন একটী স্থান বা ঘর ছিল। মিস্ মূলার ও স্বামীজী অনেক সময় এই স্থানটীতে বসিয়া অপরাহ্নে চা পান বা সান্ধ্য আহার করিতেন। উঠানে অনেকগুলি গাছ ছিল, বসন্তকাল-বেশ ফুল ধরিয়াছে, গাছগুলি সম্ভবতঃ আপেল, ন্যাসপাতি ও চেরি গাছ হইবে। এদেশের একটি বিশেষত্ব যে বসন্তকালে আগে ফুল ফোটে তাহার পরে পাতা বেরােয় কারণ শীতকালে গাছের পাতা ঝরিয়া যায়। দোতালার ঘরগুলি নীচেকার ঘরের আয়তনে সমান। নিম্নে বসিবার ঘরের পাশে একটা ঘর, সেটী স্নানাগার। এই স্নানাগারে বাংলাদেশের পূর্বে প্রথানুযায়ী একটী পাতকুয়া,—পাইখানা ছিল, উপরটী বেশ কাঠের বাক্স পাইখানার বা Comoleএর মতন ছিল, এবং মলত্যাগের পর কিঞ্চিৎ পরিমাণে বালি ঢালিয়া দিতে হইত, তাহা হইলে ঘরটীতে আর কোন দুর্গন্ধ হইত না। কিন্তু গ্রামের অপর বাড়ীর পাইখানা এরূপ নয়, উঠানের এক কোণেতে একটা ঘর থাকে, এবং পাইখানার ভিতরে একখানা তক্তা ও তাহার উপরের তক্তায় একটা গর্ত। একপার্শ্বে কতকগুলি পুরাতন কাগজ থাকে, মেজেতে গামলা পাতা থাকে না,-মল মাটিতে পড়ে, কারণ ওদেশে জল-- শৌচের প্রথা নাই—সেইজন্য অত সঁাৎসেঁতে কাদা হয় না, মাঝে মাঝে চাষারা আসিয়া মাঠে সার দিবার জন্য মলটা তুলিয়া লইয়া যায়। একদিন বেলা এগার বা বারটার সময় স্বামীজী মিস্ মূলারের বাড়ী নীচেকার বৈঠকখানা ঘরটিতে আসিয়া একখানি সােফায় স্বামীজীর কথােপকথন। বসিলেন। ডাক পিয়ন কতকগুলি চিঠি দিয়া গিয়াছিল, সে স্বামী সেই সকল চিঠি স্বামীজীকে পড়িয়া ১৪