পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লণ্ডনে বিবেকানন্দ বকিতে শুরু করিলেন, “আজ্ঞে মাগী (awkward woman), বাইসাইকেল চড়তে জানে না, পথে খানিকটা গিয়ে ধপ করে পড়ে গেল, কাপড়-চোপড়ে সব ধুলাে লাগলাে, পাড়ার হতভাগা ছেলেরা হােঃ হােঃ করে হাতে লাগলাে। দেখ দেখি, বেহিসাবী, বাইসাইকেল চড়তে জানে না” এই বলিয়া আপনাআপনি বকিতে লাগিলেন। তাহার পর আবার শুরু করিলেন, “গাঁয়ের ছোড়াগুলাে কি পাজী। আমাকে হাততালি দিতে লাগলাে, কেউ বা ঢেল ছুড়তে লাগলাে, সব ছেলে-মেয়েগুলাে দল বেঁধে আমার বাইসাইকেলের পথ আটকে দিয়ে বলতে লাগলাে, “দ্যাখ, দ্যাখ, একটা বুড়াে মাগী মদ্দোর পােক পরেছে’ এই বলে ছেলে মেয়ে গুলাে এত বিরক্ত করলে যে আমি আর যেতে পালুম না, কাজেই ফিরে এলুম। ছেলে গুলাে ভারি দুষ্টু!” সারদানন্দ স্বামী ও বর্তমান লেখক মিস্ মুলারের ভাবগতিক দেখিয়া চুপ করিয়া রহিলেন, “হ’ ‘না’ কিছুই বলিলেন না, দুটো যেন জ্যান্ত পুতুলের মত দুইখানি বেতের চেয়ারে বসিয়া রহিলেন। মিস্ মুলারের যদিও বেশী বয়স হইয়াছিল কিন্তু তাহার মুখে পুরুষের মত একটু একটু গোঁফ, এবং দাড়িতে সামান্য একটু চুল হইয়াছিল, গালে কিন্তু ছিল না, তাহার গোঁফটা যেন স্পষ্ট দেখা যাইত। লণ্ডনের স্ত্রীলােকেরা খুব বলিষ্ঠ, এইজন্য লণ্ডনে অনেক স্ত্রীলােকের মুখে ছােট ঘােট গোঁফ দেখিতে পাওয়া যায়, কাহারও বা সাদা গোঁফ, কাহারও বা কালাে গোঁফ। ভারতবর্ষে এরূপ নাই বলিলেই হয়। কিন্তু লণ্ডনে এটা কিছু আশ্চর্যজনক নয়, এরূপ স্ত্রীলােক অনেক দেখিতে পাওয়া যায়। সেইজন্যই বােধ হয় ছেলেগুলাে আরও ক্ষেপাইয়া দিয়াছিল।

বার্ম কহিবার প্রথা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রকারের আছে।

ইংরে' গর একটি প্রথা আছে এবং স্বামীজী তাহা বিশেষ করিয়া লক্ষ্য